প্রস্তুত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস-২০১৯ উদযাপনে প্রস্তুত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। আজ (বুধবার) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন করে বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে নিহত বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর সাধারণ মানুষের ঢল নামবে শহীদ মিনারে। শ্রদ্ধার অর্ঘে ঢেকে যাবে শহীদ বেদি।
গত কয়েকদিন যাবত শহীদ মিনারের চৌহদ্দি জুড়ে ধোয়ামোছা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও রঙয়ের কাজ চলে। সামনের রাস্তায় চলে দেয়াল লিখন।
আজ (বুধবার) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ঝকঝকে তকতকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। চৌহদ্দী জুড়ে বাঁশের ব্যারিকেড ও সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ও আশপাশে পুলিশ-র্যাবসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন। শহীদ মিনারের সামনের রাস্তার বিপরীতে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের রঙ-তুলির আচঁড়ে ৫২’র মহান ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ফুটিয়ে তোলা দেয়াল লিখন শোভা পাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
সম্প্রতি নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি জানান, সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি না থাকলেও সবকিছু মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সবাই যাতে নিরাপদে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন সে জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনার এলাকায় ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনীও নিয়োজিত থাকবে।
আজ (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শহীদ মিনার এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নির্দিষ্ট প্রবেশপথ দিয়ে সবাইকে প্রবেশ করতে হবে। ভিআইপি ব্যক্তিরা মৎস্য ভবন হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীর চর্চা কেন্দ্রের সামনে গাড়ি রেখে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।
এদিকে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এদিন দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহে সঠিক নিয়ম ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
ভাষাশহীদদের রূহের মাগফিরাতের জন্য আজিমপুর কবরস্থানে ফাতেহা পাঠ ও কোরআনখানির আয়োজনসহ দেশের সব উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন থাকবে।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়কদ্বীপ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাজনক স্থানে বাংলাসহ অন্যান্য ভাষার বর্ণমালা সংবলিত ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হবে। সরকারি ও বেসরকারি সব গণমাধ্যমে একুশের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ সংলগ্ন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় ভ্রাম্যমাণ টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে।
এমইউ/এমএমজেড/এমকেএইচ