‘পাটের উন্নয়নে জুট গুডস রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার করা হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৭ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পাটের বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে ‘জুট গুডস রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার’ করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।

আজ মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পাট অধিদফতরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, পাটের বহুমুখী ব্যবহার বাড়ানোর জন্য একটি ‘জুট গুডস রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার’ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। ‘পাট আইন-২০১৭’ এর আওতায় এটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে পাট অধিদফতর। যেখানে পাটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হবে এবং পাট খাতের উন্নয়নে বিশেষজ্ঞরা গবেষণার সুযোগ পাবেন।

তিনি বলেন ‘পাট আইন-২০১৭’ ও ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ শতভাগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশব্যাপী পাটজাত পণ্য ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। দেশের জিডিপিতে আরও বেশি অবদান রাখবে। পাটজাত পণ্যকে রফতানি শীর্ষে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য সকলকে এক হয়ে পাটের সমস্যা বের করতে হবে এবং সমাধানের জন্য চেষ্টা করতে হবে।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ইউরোপসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে পাটের ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে। সেদিক থেকে বাংলাদেশ কেন পিছিয়ে থাকবে? ভারতসহ বিভিন্ন বাংলাদেশ থেকে পাট কিনে তারা তাদের দেশে পাটের ব্যবহার বাড়াচ্ছে। তাদের রিসার্চ সেন্টার আছে। আমরা রিসার্চের জন্য অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল থাকব না। যত দ্রুত সম্ভব আমরা পাট রিসার্চ সেন্টারের মাধ্যমে পাট শিল্পকে আরও এগিয়ে নেব।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পাট এক্সপোর্টে আমরা এগিয়ে আছি। তবে আইনে নির্ধারিত ১৯টি পণ্যে পাটের মোড়ক ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করতে আরও বেশি বেশি ভ্রাম্যমাণ আদালত তথা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। এজন্য সকল ডিসিদের কাছে বার্তা পৌঁছানোর কথা বলেন তিনি।

আলোচনা সভায় পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মিজানুর রহমান, পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. শামছুল আলম, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আবদুল জলিল, পরিচালক তাহমিদা আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমইউএইচ/এমবিআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।