‘নির্বাচনের রেশ না কাটতেই হকারদের পেটে লাথি’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি ও প্রবীণ শ্রমিক নেতা মনজুরুল আহসান খান বলেছেন, নির্বাচনের রেশ না কাটতেই হকারদের পেটে লাথি মারা শুরু হয়েছে।
হকার্স ইউনিয়নের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাসিম কবির।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হকার্স ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম, সহ-সম্পাদক মো. গোলাপ, অর্থ সম্পাদক মো. মজিদ, আহম্মদ আলী, বিল্লাল হোসেন, মো. শহীদ, মো. ফারুখ প্রমুখ।
মনজুরুল আহসান খান বলেন, গত নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ছিল, সরকার প্রতি ঘরে ঘরে একজনকে চাকরির ব্যবস্থা করবে। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে বরং যারা নিজেরা নিজেদের কর্মসংস্থান করে নিয়েছে, তাদেরকে উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে গরিব হকারদের সর্বশান্ত করার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন, পুনর্বাসন ছাড়া তিনি হকার উচ্ছেদ করবেন না। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তিনি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন এবং অবিলম্বে হকারদের ফুটপাতে বসার ব্যবস্থা করবেন।
সমাবেশে হকার্স ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রায় এক যুগ ধরে পুনর্বাসনের জন্য হকাররা ১০ দফা দাবি আদায়ে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। সংগ্রামের একপর্যায়ে সিটি কর্পোরেশন হকারদের সাথে পরামর্শ করে, কীভাবে হকারদের সমস্যার সমাধান করা যায় সে বিষয়ে কতগুলো প্রস্তবানাও হাজির করা হয়।
তারা বলেন, যতক্ষণ না হকারদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন করা যাচ্ছে, ততক্ষণ ফুটপাতের ১/৩ অংশ জায়গা তাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হোক এবং তাদের সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে একটি করে আইডি কার্ড দেয়া হোক। আর শহরের যানজট নিরসনে প্রাইভেট কারগুলো চলাচলের জন্য জোড়-বিজোড় পদ্ধিত চালু করা হোক। বড় বড় মার্কেটগুলো যাতে বিল্ডিং কোড মেনে চলে সেজন্য কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হোক। বেশির ভাগ মার্কেটগুলোতে গাড়ি পার্কিংয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান বক্তারা।
এফএইচএস/এমএআর/বিএ