৫ হাজার কোটি টাকার চেয়ে স্কুল গুরুত্বপূর্ণ : দুদক চেয়ারম্যান
৫ হাজার কোটি টাকার আত্মসাতের ঘটনার চেয়ে স্কুলের দুর্নীতি দমন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। কোচিং সেন্টার নিয়ে জারি করা এক রুলের শুনানিতে দুদকের বিষয়ে হাইকোর্টের করা এক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) হাইকোর্ট এক রিট শুনানিতে বলেছিলেন, ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়ে যাচ্ছে, সেখানে দুদক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্লাসে আসছে কি-না তা নজরদারি করছে। দুদক সম্পর্কে জনসাধারণের সাধারণ ধারণা জন্মেছে যে, দুদক দুর্বলদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও সমাজের রাঘব বোয়ালদের বিরেুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
হাইকোর্টের এমন মন্তব্যে রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সেগুনবাগিচায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের কৌশলপত্র ২০১৯’ এর উপর মতামত ও পরামর্শ গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সব দুর্নীতি ধরা কমিশনের ম্যান্ডেট না। যে বিষয়গুলো দুদকের আওতায় নেই সেগুলোকে আমরা সরকার বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নজরে আনি। কমিশন দুর্নীতিকে বিচার বিভাগ পর্যন্ত টেনে নিতে পারে। কিন্তু দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে পারে না। কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় দুর্নীতি কমেনি।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক অবস্থার কারণে অনেক কিছুই আমরা সামনে আনতে পারি না। রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছাড়া দুর্নীতি দমন করা যায় না। সরকারি কর্মকর্তা, যারা দুর্নীতিবাজ তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের ছাড় দেয়া হবে না।
দুদকের অনেক ব্যর্থতা থাকায় কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় দুর্নীতি কমানো সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব সঠিক থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি কমবে। সিস্টেম ঠিক থাকলে দুর্নীতি কমবে। এ জন্য সবার আগে মানসিকতা, মূল্যবোধের ইতিবাচক পরিবর্তন করা দরকার।
এফএইচ/আরএস/জেআইএম