প্লেনের ভাড়া কমানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস প্রতিমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১৩ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

অভ্যন্তরীণ রুটে বেসরকারি প্লেনের ভাড়া কমানো যায় কি না- সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দফতরে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি) এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।

বাংলাদেশের চেয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভ্যন্তরীণ রুটে প্লেনের ভাড়া অনেক কম। আমাদের দেশে প্লেনের ভাড়া কমানোর কোনো উদ্যোগ নেয়া হবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ভাড়ার ব্যাপারে বিভিন্ন ফ্যাক্টর কাজ করে। সরকারি বিমানের ভাড়াতো তুলনামূলক কম। বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।’

এ বিষয়ে অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ভারত সরকার সেদেশে পর্যটন এবাং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজলভ্য করার জন্য এ খাতে বেশ ভর্তুকি দিয়ে থাকে। তাই সেখানে অভ্যন্তরীণ রুটে ভাড়া কিছুটা কম মনে হলেও ভায়াবিলিটি গ্যাফ হিসেবে সরকার ভর্তুকি দিয়ে প্লেন মালিকদের পুষিয়ে দেয়।

biman-2

বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিমানের উন্নয়নে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী ১০০টি ইকোনোমিক জোন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ইতোমধ্যে বেশকিছু বাস্তবায়নও হয়েছে। এজন্য দেশি-বিদেশি অনেক বিনিয়োগকারী আসছেন। হলি আর্টিসানের ঘটনা প্রধানমন্ত্রী খুব ভালোভাবে হ্যান্ডেল করেছেন। এজন্য দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে এবং আস্থা এবং বিশ্বাসের জায়গায় আমরা ফিরে এসেছি। তাই এখন অনেক বিদেশি বাংলাদেশে আসছেন। এজন্য এ সেক্টরকে আমাদের আরও উন্নয়ন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এ খাতে অনেক সমস্যা আছে। কিন্তু আজকে বেশি আলোচনা হয়নি। জাস্ট পরিচিত হওয়ার সাথে সাথে কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীতে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধেনের উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী অত্যান্ত আন্তরিক। তিনি চান এ সেক্টরটা আরও উন্নতি করুক।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কার্গ হ্যান্ডেলিংয়ে যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো দেখতে আমি এক মাসের মধ্যে ৫ বার বিমানবন্দর গিয়েছি। বিশেষ করে যাত্রীদের কাছ থেকে সেবার মান নিয়ে অভিযোগ আসে। আমি সেখানে নিজে গিয়েছি, একসঙ্গে কাজ করেছি। এখন ইমিগ্রেশন শেষ করে আসার সঙ্গে সঙ্গে লাগেজ পাওয়া যাচ্ছে, এটা খুব আশার কথা।’

তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ান একটি প্রতিষ্ঠান আমাদের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে সিকিউরিটের ফাইভ স্টারের মর্যাদা দিয়েছে। যেটা আমার জন্য খুব সম্মানের। এজন্য বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।

এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ যেসব দাবি-দাওয়া রয়েছে সেগুলো আমি নিশ্চই দেখবো বলেও জানান মন্ত্রী।

এমইউএইচ/এমবিআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।