সাতসকালেই ঝড়ো হাওয়া, মুষলধারে বৃষ্টি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৪৮ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

রাজধানীর আজিমপুরের বাসিন্দা শওকত হোসেন ভিকারুননিসা নূন স্কুলে পড়ুয়া মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে আজ (রোববার) সাতসকালে ঘুম থেকে ওঠে ভিমড়ি খেলেন। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখেন সকাল সাড়ে ৭টা কিন্তু জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখেন ঘুটঘুটে অন্ধকার। তীব্র বাতাস আর ঝড়ো হাওয়া। কিছু বুঝে উঠার আগেই শুরু হলো মুষলধারে বৃষ্টি। তবে বৃষ্টি বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। কিছুক্ষণের মধ্যেই থেমে গেলো।

অবশ্য আবহাওয়া অধিদফতর ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে আজ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা আগেই জানিয়েছিল। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। ভোর ৬টা থেকেই আকাশ ভারী মেঘে ঢেকে যায়। এরপর সাড়ে ৭টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। প্রথম দফায় প্রায় ২০ মিনিটের মতো মুষলধারে বৃষ্টি হয়। পরে থেমে গিয়ে আবারও বৃষ্টি বাড়তে থাকে। সকাল ৮টার পর আবার মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়।

এদিকে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়ে সকালে স্কুল-কলেজে যাওয়া শিক্ষার্থীরা। এছাড়া জীবিকার তাগিদে চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবীরা ঘরের বাইরে বের হয়ে বিপাকে পড়েন। বৃষ্টির কারণে যানবাহন কমে যাওয়ায় অনেকেই নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে যেতে পারেননি। বৃষ্টিতে অনেকে কাকভেজা হন।

বৃষ্টি থামার পর অনেক অভিভাবক ছেলে-মেয়েদের নিয়ে স্কুলে রওনা হন। অফিসগামীরাও বেরিয়ে পড়েন কর্মস্থলের উদ্দেশে।

রাজধানীর উদয়ন স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মোহাম্মদ হোসেন নামে একজন অভিভাবক বলেন, ফাগুন মাসে এমন বৃষ্টি কখনও দেখিনি। বৃষ্টির সাথে ঠান্ডা বাতাসে তীব্র শীত লাগছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যায়াম করছেন। সালাম নামে একজন প্রবীণ ব্যক্তি জানান, শরীরকে সুস্থ রাখতে ঝড়-বৃষ্টি হলেও উদ্যানে ছুটে আসেন তিনি।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় লঘুচাপের প্রভাবে রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এমইউ/এমবিআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।