৯৫ ভাগ মানুষের জমি সম্বন্ধে ধারণা নেই
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, দেশের ৯৫ ভাগ মানুষের জমিজমা সম্বন্ধে কোনো ধারণা নেই। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক কিছু শেখানো হয়, কিন্তু ভূমি সম্পর্কে আলাদা কোন বিভাগ বা পাঠ্যসূচি নেই। কীভাবে জমির হিস্যা, জমির নামজারি, জমাভাগ হয় তা সাধারণ মানুষ জানে না। এ তথ্যগুলো কোন পাঠ্যপুস্তকেও উল্লেখ নেই।
তিনি বলেন, জমির পরিমাণ বাড়ছে না অথচ জমিতে বিনিয়োগকারীদের প্রতিযোগিতায় ভূমিহীনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, কোনোভাবেই তা কাম্য নয়। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্টদের জমি-জমা সংক্রান্ত জটিল তথ্যাদি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন।
বুধবার দুপুরে পাবনার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভূমি জোনিং প্রকল্প, ভূমি মন্ত্রণালয় `ভূমি জোনিং` বিষয়ে এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, জাতির মঙ্গলের জন্য জমির উপর থেকে বিনিয়োগকারীদের এ ধরনের আগ্রাসী মনোভাব বন্ধ করা উচিত। আর জমির সুষ্ঠু ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে ল্যান্ড জোনিং কার্যক্রম শুরু করেছি। বন সংরক্ষণ, নদী সংরক্ষণ, জলাভূমি ও আবাদি জমি সুরক্ষা, পাহাড় সুরক্ষা, পরিবেশ ও নদী দূষণ রোধ, নদীর নব্যতা রক্ষা, নির্ধারিত স্থানে ইটের ভাটা স্থাপন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, কৃষি, মৎস্য, শিল্প ও বাণিজ্যিক অবকাঠামো, পর্যটন জোনসহ জমির প্রতিটি ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সরকার ইতোমধ্যে ল্যান্ড জোনিং কার্যক্রম শুরু করেছে।
ভূমিমন্ত্রী আরো বলেন, ৪৩টি জেলায় ইতোমধ্যে ভূমি জোনিং কার্যক্রম চলছে। পর্যায়ক্রমে তা সারাদেশে প্রসার ঘটানো হবে। মন্ত্রী পাবনার ইছামতি নদী পুনরুদ্ধারে স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসনকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি নদী, জলাশয় বা পুকুর ভরাট অথবা যত্রতত্র কোনো অবৈধ স্থাপনা না করার পরামর্শ দেন।
জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় ভূমি জোনিং প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) কফিল উদ্দিন, পাবনা পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর, সিনিয়র ল্যান্ড ইউজ প্ল্যানার সাখাওয়াত হোসেন, প্রকল্পের মৎস্য বিশেষজ্ঞ আবদুস সাত্তার, জেএসঅ্যান্ডআরএস বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
একে জামান/এআরএ