বাংলা‌দেশ বেতার একটি গ্রহণযোগ্য গণমাধ্যম : রাষ্ট্রপ‌তি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:১১ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করে বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও দেশের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ বেতার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

বিশ্ব বেতার দিবস (বুধবার ১৩ ফেব্রুয়ারি) উপলক্ষে মঙ্গলবার দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। বিশ্ব বেতার দিবস ২০১৯ এর প্রতিপাদ্য ‘সংলাপ, সহনশীলতা ও শান্তি।’

আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ বেতার দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ হিসেবে আত্মপ্রকাশের মধ্যদিয়ে এ প্রতিষ্ঠান আমাদের মহান মুক্তিসংগ্রামে অনন্য ভূমিকা পালন করে।’

তিনি বলেন, ‘সারাদেশে বাংলাদেশ বেতারের দুই হাজারের অধিক শ্রোতাক্লাব রয়েছে। শ্রোতাক্লাবগুলোকে শিশুদের স্কুলে ভর্তি, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, যৌতুক নিরোধ, নারীশিক্ষার প্রসার, ডিজিটাল বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে বেগবান করা সম্ভব।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী বেতার একটি জনপ্রিয় গণমাধ্যম। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে সহজলভ্যতার কারণে মানুষের কাছে বেতার একটি গ্রহণযোগ্য গণমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন দেশ-জাতি-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত ও হানাহানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও মতের প্রতি অসহিষ্ণুতা, আধিপত্য প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি সকল সংঘাত, যুদ্ধ-বিগ্রহের মূল কারণ। শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠারক্ষেত্রে সংলাপ ও সহনশীল মনোভাবের বিকল্প নেই।’

আবদুল হামিদ বলেন, ‘প্রচার কার্যক্রমে এ বিষয়গুলোকে তুলে ধরার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করতে বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বেতারের শ্রোতাম-লীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতারের শ্রোতা সম্মেলনের আয়োজন ও স্মরণিকা প্রকাশের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। এছাড়াও বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

এফএইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।