সরকার তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করেছে

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১১:৩০ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করেছে। জাতীয় তথ্য বাতায়ন এবং ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র চালু করে আমরা তথ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে গেছি। আমরা দেশে সর্বপ্রথম জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালাসহ তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি।’

বেসরকারিখাতে ৪৪টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদন দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের গণমাধ্যম এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।’

বিশ্ব বেতার দিবস (বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি) ও শ্রোতাক্লাব সম্মেলন ২০১৯ উপলক্ষে মঙ্গলবার দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের বেতার শ্রোতা, কলাকুশলী ও সম্প্রচারকর্মীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে বাংলাদেশ বেতার স্বাধীনতাউত্তর দেশ গঠনে অনবদ্য ভূমিকা রেখে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর থেকে এক উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নে বিভোর থেকে আমরা যে নিরলস পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছি, বাংলাদেশ বেতার তা পৌঁছে দিচ্ছে দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে। দেশে-বিদেশে সর্বত্র গড়ে তুলছে বাংলাদেশের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অর্জন করেছি কাঙ্ক্ষিত মধ্যম আয়ের দেশের খেতাব। একবিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগেই বাংলাদেশের উন্নয়নতরী পৌঁছে যাবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বন্দরে।

সেই পথচলায় বাংলাদেশ বেতারের প্রতিটি কর্মী যার যার অবস্থান থেকে অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করার পর থেকে বেতার এ অঞ্চলের সকল অধিকার আদায়ের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দারিদ্র্যমোচন, কৃষি উন্নয়ন, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসসহ সার্বিক উন্নয়নে বেতারের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা জাতিকে আজীবন কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করে রাখবে। তিনি বিশ্ব বেতার দিবস ও শ্রোতাক্লাব সম্মেলন ২০১৯-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

এফএইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।