ভোলায় বিকল্প ফেরিঘাট নির্মাণের প্রস্তাব
ভোলায় ১৫ দিন আগে নির্মিত নতুন ইলিশা ফেরিঘাট ফের মেঘনা নদীর ভাঙনের মুখে পড়ায় গত ২৩ আগস্ট বিকেল থেকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
এদিকে সড়ক যোগাযোগ নিরবিচ্ছিন্ন করতে বিকল্প ফেরিঘাট স্থাপনের প্রস্তাব করেছে বিআইডবলিওটিএর প্রকৌশলীরা।
ফেরির ম্যানেজার আবু আলম জানান, ২০০৭ সালে ২৭ ফেরুয়ারি ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়। ২০১৩ সালে ইলিশা ঘাটটি সরিয়ে রাজাপুর সংলগ্ন ৬শ মিটার এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের মধ্য দিয়ে ফের নতুন করে ঘাট নির্মাণ করা হয়। ওই সড়ক এবার মেঘনা নদীতে ধসে যাওয়ায় ১৫ দিন আগে বিশ্বরোডের মাথায় নতুন করে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ফের ঘাট নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে ওই ঘাটও তীব্র স্রোতের মুখে ভাঙতে শুরু করে। সরে যায় র্যাম, গ্যাংওয়ে, পন্টুন । বন্ধ হয়ে যায় ফেরি চলাচল। বুধবার পর্যন্ত ৪ দিন ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে ঘাট এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করার পাশাপাশি বিআইডব্লিওটিএ ঘাট সংস্কার কাজ শুরু করে। ফলে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ফেরি কোনো রকমে চালিয়ে রেখে কিছু যানবাহন পারাপারের চেষ্টা করা হবে বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ নেওয়াজ কবির।
তিনি অবশ্য ওই নতুন ঘাটটিকে থাকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। তিনিও বিকল্পঘাট নির্মাণের প্রস্তাব করেছেন। তিনি জানান, ইলিশা এলাকার পশ্চিম পাশ ধরে ২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করে পুরাতন ঘাট এলাকায় ফেরিঘাট নির্মাণ করা হলে তা টিকে থাকতে পারে। ওই ২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ইতোমধ্যে এলজিইডি’র একটি টিম ওই এলাকা পরির্দশন করেছেন। বিকল্প ফেরিঘাট নির্মাণ না হলে ভেঙে পড়বে বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা। অপরদিকে ফেরি বাস্তবায়ন ও ভোলা স্বার্থ রক্ষা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম দুটি ঘাট নির্মাণের দাবি জানান।
অমিতাভ অপু/ এমএএস/পিআর