কুষ্ঠ নির্মূলে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৩৫ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কুষ্ঠরোগ নির্মূলে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ লক্ষ্যে আগামী সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবরে একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন করা হবে। এ বিষয়ে এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিয়েছেন।

সোমবার জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কুষ্ঠ নির্মূলবিষয়ক শুভেচ্ছা দূত ও মিয়ানমারে জাতীয় মীমাংসাবিষয়ক জাপান সরকারের বিশেষ দূত ইওহেই সাসাকাওয়া বিষয়টি অবহিত করেন।

সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, কুষ্ঠরোগ নির্মূলে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আবাসিক প্রতিনিধি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জাপানের বিশেষ দূত বলেন, এ ধরনের রোগ বর্তমানে বাংলাদেশে সহজে নিরাময়যোগ্য। কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্য প্রসংশনীয়।

এ সময় তিনি কুষ্ঠরোগ নির্মূলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ উদ্যোগে একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজনের বিষয়ে স্পিকারকে অবহিত করেন। এ কনফারেন্স আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর/আক্টোবর মাসে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশে এ কনফারেন্স আয়োজন করা হবে।

স্পিকার কনফারেন্স আয়োজনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং সবধরনের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ১৯৯৬ সাল থেকে কুষ্ঠরোগ নির্মূলে কাজ করছে। কুষ্ঠরোগ নির্মূলে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ সরকার কাজ করছে।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা লাভের পর জাপানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। পথপরিক্রমায় এ সম্পর্ক আজ অত্যন্ত সুদৃঢ়। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

ইওহেই সাসাকাওয়া বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অবশ্যই বেগবান করতে হবে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে জাপান। ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদারতার পরিচয় দিয়ে মানবতার যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি জাপানের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন ইওহেই সাসাকাওয়া।

এইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।