সারাদেশেই জয় পাবো : ব্যারিস্টার আমির


প্রকাশিত: ১০:২২ এএম, ২৬ আগস্ট ২০১৫

সারাদেশের সব বারেই জয় লাভ করার আশা ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী প্যানেল সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদের (সাদা প্যানেল) ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যারিস্টার আমির-উল ইসলাম। তিনি বলেন, সুন্দর পরিবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু বার কাউন্সিল প্রাথমিক দ্বায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তাতে সরাদেশের আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ। অনেকেই আইডি কার্ড নিয়ে আসেনি সে কারণে ভোট দিতে পারেনি।’

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবণ প্রাঙ্গণে বুধবার এক প্রতিক্রিয়ায় উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। আমির উল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঢাকা বারে গিয়েছিলাম সেখানেও সুন্দরভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। আমি আইনজীবীদের মধ্যে একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি তারা পরির্বতন চায়। তারা প্রশাসনিক উন্নয়ন চায়’

দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে উত্তরণ ঘটানোই চ্যালেঞ্জ, বিভেদ ভুলেই আমরা এগিয়ে যাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বারটাকে গুছিয়ে আইনজীবীদের উন্নয়নে করবে পারবো বলে বিশ্বাস করি। আইনজীবীরাই বিচারপতি হয়, আশা করি সেবাদানের মনোবৃত্তি নিয়ে কাজ করতে পারবো।’

জয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি সারাদেশের ‘সব বারেই জয় লাভ করবো।’

বুধবার সকাল ১০টায় সারাদেশের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে স্থাপিত ভোট কেন্দ্রেও শুরু হয় ভোটগ্রহণ। মাঝখানে দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা বিরতির পর একটানা ৫ টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। ঢাকা বার ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই। ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার আমেজ দেখা যায়। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্প তৈরি করে নিজ নিজ সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালচ্ছেন।

এবারের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন দেশের ৪৩ হাজারের বেশি আইনজীবী সদস্য। দেশের জেলা সদরের সকল দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভোটকেন্দ্র এবং বাজিতপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, দুর্গাপুর, ভাঙ্গা, চিকন্দি, পটিয়া, সাতকানিয়া, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, নবীনগর ও পাইকগাছাসহ দেশের ১২ উপজেলা পর্যায়ের দেওয়ানি আদালত অঙ্গণের ভোটকেন্দ্র থেকেও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের খবর আসছে।

আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রত্যেক ভোটারকে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা পাসপোর্ট দেখিয়ে ভোট দিতে হচ্ছে। নির্বাচনে চারটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তবে নির্বাচনে সরকার সমর্থিত ও আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদ (সাদা প্যানেল), জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য (নীল প্যানেল), আইনজীবী ঐক্য ফ্রন্ট (গোলাপী প্যানেল) অপর একটি প্যানেলের নাম আইনজীবী ঐক্য পরিষদ।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে ১৫ জন সদস্যের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। আর ১৪ জন আইনজীবীর সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন।

এফএইচ/এসএইচএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।