মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে বিশ্ব নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান
ধর্মীয় মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টার আয়োজিত ‘মৌলবাদী রাষ্ট্র গঠন’ শীর্ষক নাজমুল করিম স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর। স্বাগত বক্তব্য দেন নাজমুল করিম ও স্টাডি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. নেহাল করিম।
উপাচার্য বলেন, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে মৌলবাদীরা হত্যা ও শিরশ্ছেদের মত নৃশংসতার মাধ্যমে বিশ্ব সভ্যতাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্ব নেতৃত্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অসাম্প্রদায়িক চেতনার লালন ক্ষেত্র হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই বিশ্ববিদ্যালয়েও মৌলবাদের বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এদের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকতে হবে।
শোকের মাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু উপলদ্ধি করেছিলেন উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া মানুষের মানসিকতার উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ কারণে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণ এবং ড. কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন।
এছাড়া, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতেই ঘাতকরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরবর্তীতে সামরিক সরকারগুলো শিক্ষা ব্যবস্থা পুনর্গঠনের উদ্যোগ না নেয়ায় দেশ আবারও পশ্চাৎপদতার দিকে ধাবিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পন্ন বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য তিনি তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
স্মারক বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর বলেন, তালেবানি বিশ্বাস প্রসূত কিছু রাজনৈতিক দলের কারণেই বাংলাদেশ পশ্চাৎপদতা থেকে আধুনিকতা অর্জন করতে পারেনি।
ড. বোরহান উদ্দিন আরো বলেন, এসব রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে এবং শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর বারবার আঘাত হানছে।
পরীক্ষার সময় তারা হরতাল, স্কুলে অগ্নি সংযোগ ও নারী শিক্ষার বিরোধিতা করে শিক্ষার সার্বিক পরিবেশ নষ্ট করছে।
এমএইচ/এসকেডি/পিআর