নারীর ক্ষমতায়ন বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে
বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় নারীরা অসামান্য অবদান রাখছে। সামাজিক পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ার রূপান্তরে নারীর ক্ষমতায়ন বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) গত ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের সেমিনারের অন্যতম বক্তা হিসেবে নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল তার মতামতে এসব তুলে ধরেন।
কানাডা ও সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগিতায় নেদারল্যান্ডসের হেগে ইন্টারন্যাশনাল জেন্ডার চ্যাম্পিয়নের হাবের উদ্বোধন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
‘জেন্ডার চ্যাম্পিয়ন’ হলো এমন একটি উদ্যোগ যেখানে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ব্যক্তি কর্তৃক সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয় এবং কর্মক্ষেত্রের সকল স্তরে লিঙ্গ সমতা বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হয়।
নারীর ক্ষমতায়নকে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের সামাজিক পরিবর্তন হিসাবে অভিহিত করে রাষ্ট্রদূত বেলাল পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত জানান যে, কতিপয় অভিনব উদ্যোগ বিশেষ করে ক্ষুদ্রঋণ এবং তৈরি পোশাক শিল্পে নারীদের নিয়োগের মাধ্যমে নারীরা তাদের সীমাবদ্ধ গণ্ডি অতিক্রম করে উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছে। সরকারের নীতি সহায়তার বদৌলতে বাংলাদেশের লাখো নারী তাদের শত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করেছে।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কর্মজীবী নারীদের অবদান সম্পর্কিত বর্ণনায় রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সকলকে জানান যে, বিগত ৯ বছরে বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের মজুরি প্রায় ২৬২ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলেও ওই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাকের মূল্য প্রায় ৬.৫৩ শতাংশ এবং ইউরোপের বাজারে প্রায় ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রেসিডেন্ট বিচারপতি চিলি ইবোয়ি ওসুজি সেমিনারের সূচনা করেন এবং প্রসিকিউটর ফাতো বেনসৌডা, ওমেন অ্যাট দ্য টেবিলের নির্বাহী পরিচালক ক্যাটলিন ক্রাফট এবং আইজিসির সহপ্রতিষ্ঠাতা হ্যান্স ডি বোর এতে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জেপি/এনএফ/এমএস