বুড়িগঙ্গা তীরের ২৯০ স্থাপনা উচ্ছেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০৯ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বুড়িগঙ্গার তীরের ২৯০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের কামালবাগ, লোহারপুল ছাতা মসজিদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৯০টি পাকা ও আধাপাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দোতলা ভবন তিনটি, একতলা বাড়ি সাতটি, আধাপাকা ঘর ২৩টি এবং টিন ও টংঘর ২৫৭টি।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গতকাল কামরাঙ্গীরচরের কয়লাঘাট ও ইসলামবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আড়াই শতাধিক পাকা ও আধাপাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চারতলা ভবন তিনটি, তিনতলা ভবন দু’টি, দোতলা ভবন পাঁচটি, একতলা বাড়ি ৯টি, আধাপাকা ঘর ২৫টি এবং টিন ও টং ঘর ২০৮টি।

buriganga-(2)

গত ৫ ফেব্রুয়ারি কামরাঙ্গীরচরের নবাবচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দু’শতাধিক পাকা ও আধাপাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি তিন তলা ভবন, দোতলা ভবন পাঁচটি, একতলা ভবন ২৮টি, আধাপাকা ঘর ২২টি এবং টং ঘর ১৫৫টি।

উচ্ছেদ কার্যক্রমের প্রথম পর্যায়ে বিআইডব্লিউটিএ ২৯-৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছোট বড় ৪৪৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। এগুলোর মধ্যে সাত, পাঁচ, তিন ও দোতলা পাকা ভবন, স’মিল, গোডাউন, প্লাস্টিক কারখানা এবং আধাপাকা ভবনও রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট ১ হাজার ১৯৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। এখন পর্যন্ত এক লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিআইডব্লিউটিএ দখলদারদের বিতাড়িত করার পরিকল্পনা নিয়ে নদী উদ্ধারে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাচ্ছে। পরবর্তী কার্যক্রম ১২-১৪ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

এমইউএইচ/এনডিএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।