সমুদ্রসীমা নির্ধারণ মামলায় জয়ী বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমুদ্র সীমা নিষ্পত্তির রায়ে বঙ্গোপসাগরে স্থায়ী মানচিত্র পাচ্ছে বাংলাদেশ। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ রায় প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া রুমে সাংবাদিক সম্মেলনে এ রায় পড়ে শোনান পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
এর আগে সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটায় নেদারল্যান্ড-এর হেগে অবস্থিত সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক স্থায়ী সালিশ আদালত (পিসিএ) এ রায় প্রদান করে এবং মামলাটির দুই পক্ষ বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করে। নেদারল্যান্ডস-এ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ বেলাল আহমেদ রায় গ্রহণ করেন ও ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠান। স্থায়ী সালিশ আদালতের বিধান অনুযায়ী রায় হস্তান্তরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা প্রকাশ করা যাবে না।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে হেগে স্থায়ী সালিশ আদালতে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ মামলায় বাংলাদেশ ও ভারত নিজ নিজ পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে। উভয়পক্ষের শুনানিশেষে ছয় মাসের মধ্যে রায় প্রদানের কথা জানান সালিশ আদালত। ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর স্থায়ী সালিশ আদালতে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির মামলা করে বাংলাদেশ। এতবছর ধরে তথ্য-প্রমাণ, দলিল, যুক্তিতর্ক পেশ করা হয়। সমুদ্রসীমা নির্ধারণে সমদূরত্বের রেখা টানার যুক্তি দেয় ভারত। এর ফলে সমুদ্রতট থেকে সীমারেখা হবে ১৬২ ডিগ্রি। অন্যদিকে বাংলাদেশ উপকূলীয় রেখা অবতলীয় হওয়ায় ন্যায্যতার (ইক্যুইটি) ভিত্তিতে সীমারেখা টানার কথা বলে। যেখানে রেখা হবে ভূমির মূল বিন্দু থেকে সমুদ্রের দিকে ১৮০ ডিগ্রি।
প্রসঙ্গত: প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বাংলাদেশের বিরোধ চলছে কয়েক যুগ ধরে। মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধ ২০১২ সালে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। জার্মানীর হামবুর্গে সমুদ্র আইন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে (ইটলস) দুই দেশের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। বাংলাদেশ দাবি অনুযায়ী ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমুদ্রসীমার অধিকার ফিরে পায়।