চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা, র‌্যাবের হাতে ভুয়া মেজর আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২৫ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
ফাইল ছবি

সেনা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে চাকরি দেয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে এক ভুয়া মেজরসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাব। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ থানাধীন গণকটুলি এলাকার বিজিবি ১নং গেইট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- ভুয়া মেজর পরিচয়দানকারী মো. আতাউর রহমান (৬২) এবং তার এপিএস মো. মঞ্জুরুল আলম (৪৮)। আটক মঞ্জুরুলের কাছ থেকে ‘দৈনিক আলোর জগত’ ও প্রেস লেখা আরও দুটি আইডি কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

র‌্যাব-২ এর মেজর রুহুল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, চাকরি দেয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার বেশ কিছু তথ্য র‌্যাবের কাছে আসার পর র‌্যাব-২ এর একটি দল বিষয়টি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে। তদন্তের পর অভিযান চালিয়ে এই দুই প্রতারককে আটক করা হয়।

আটকের সময় মেজর র‌্যাঙ্ক ব্যাজ সম্বলিত বিডিআর-এর (বিজিবি) পোশাক পরিহিত ১০ কপি পার্সপোট সাইজের ছবি, ডাচ বাংলা ব্যাংকের চেক, বিভিন্ন পরীক্ষার ৩টি প্রবেশপত্রের ফটোকপি, প্রফেসর (মেজর জেনারেল) এম এ বাকী লেখা সম্বলিত প্যাডে স্বাস্থ্য রিপোর্ট, অধ্যাপক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত দুইটি সুপারিশপত্র, খালি স্ট্যাম্প, ৫টি সিল, দৈনিক আলোর জগত ও প্রেস লেখা আইডি কার্ড এবং ১শ’ টাকা মূল্যের স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তিপত্রের ফটোকপি জব্দ করেছে র‌্যাব।

মেজর রুহুল আমিন বলেন, সেনাবাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার ভুয়া পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার বেকার প্রার্থীদের সরকারি অবৈধ সুযোগ-সুবিধাসহ বিভিন্ন চাকরি দেয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কোর টাকা হাতিয়ে নিত তারা এবং পরবর্তীতে তাদেরকে চাকরি না দিয়ে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে আসছিল।

র‌্যাব জানায়, আটক আতাউর রহমান (৬২) চক্রের প্রধান হোতা। নিজেকে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর পরিচয় দিয়ে তিনি চক্রটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন। মানুষের কাছে বিডিআর’র পোশাক পরিহিত মেজর র‌্যাঙ্ক ব্যাজ সম্বলিত ছবি দেখিয়ে বিশ্বাস স্থাপন করতেন। এছাড়া সাধারণ ছাত্র, বেকার যুবক, দরিদ্র ছাত্রদের বিভিন্ন সরকারি চাকরি দেয়ার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে আসতেন। পরে চাকরি প্রত্যাশীদের সেনানিবাস, বিজিবি দফতরের আশেপাশের এলাকায় গাড়ি দিয়ে ঘুরিয়ে আনতেন।

এছাড়া কিছু ক্লিনিকে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বিষয়টিকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতেন। বিভিন্ন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ও বনবিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তার সিল সম্বলিত এবং সেনাবাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তাদের ভুয়া সুপারিশনামা দেখিয়ে প্রার্থীদের আশ্বাস দিতেন। বিনিময়ে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিতেন তারা।

র‌্যাব আরও জানায়, আটক মঞ্জুরুল আলম (৪৮) এ চক্রের দ্বিতীয় হোতা। তিনি মো. আতাউর রহমানের (৬২) গ্রামের বাড়ির প্রতিবেশী। সেনা বাহিনী ও নৌ বাহিনীতে ভর্তি ইচ্ছুক প্রার্থীদের কাছ থেকে অবৈধ টাকাগ্রহণ ও আতাউর রহমানকে সকল অবৈধ কাজে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করতেন তিনি।

তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

জেইউ/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।