ফুলবাড়ী দিবস : শহীদের স্মৃতিস্তম্ভ পানির নীচে
নদীর পানিতে ডুবে গেছে ফুলবাড়ী কয়লা খনি বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ। এদিকে ২৬ আগস্ট কীভাবে এই স্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাবে ফুলবাড়ীবাসী তা নিয়ে বিড়ম্বনা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের চারপাশে ময়লা আবর্জনা ও পানি দেখা গেছে। করা হয়নি রং। শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে যাওয়ারও কোনো রাস্তা নেই।
২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট ফুলবাড়ী উম্মুক্ত কয়লা খনির প্রতিবাদে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে ও খনি বাস্তবায়নের প্রস্তাবকারী এশিয়া এনার্জি নামক বহুজাতীক বিদেশি কোম্পানির ফুলবাড়ী অফিসকে রক্ষা করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (তৎকালীন বিডিআর) সদস্যদের গুলিতে আমিন খান, সালেকিন ও তরিকুল ইসলাম নিহত হয়। তাদের স্মরণে ২০০৭ সালে ফুলবাড়ী উপজেলার সুজাপুরের উপর দিয়ে প্রবাহিত শাখা যমুনা নদীর ধারে ফুলবাড়ী ব্রিজের পাশে নির্মিত হয় স্মৃতিস্তম্ভ। কিন্তু স্মৃতিস্তম্ভটি যে জায়গায় নির্মিত হয়েছে ওই জায়গাটি নিচু হওয়ায় এটি প্রতিবছর পানিতে ডুবে যায়।
এবার দেরিতে বর্ষা হওয়ায় ২৬ আগস্ট ফুলবাড়ী দিবসেও স্মৃতিস্তম্ভটি পানিতে ডুবে আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফুলবাড়ী উপজেলার একজন জানালেন, ক্ষমতাসীনদের স্বদিচ্ছার অভাবে জায়গা না পাওয়ায় স্মৃতিস্তম্ভটি নদীর ধারে করা হয়েছে। তাই আজ এ অবস্থা দেখা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠনের আহ্বায়ক ও ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র মর্তুজা সরকার মানিক জাগো নিউজকে বলেন, ফুলবাড়ী রক্ষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের শ্রদ্ধা জানাতে আমরা সব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা নদীর পানিতে ভিজে স্মৃতিস্তম্ভে গিয়েই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবো। তারা জীবন দিতে পেরেছে আর আমরা পানিতে ভিজতে পারবোনা এটা হয়না।
এমএএস