ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য হবে সম্পদ : মোস্তাফা জব্বার
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইলেকট্রনিক্স বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করা হবে। বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো নজির স্থাপন করেছে। আমরা সে পথে চলতে পারি।
শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং টেলিকম রিপোর্টারদের সংগঠন টিআরএনবি আয়োজিত ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ফেলে দেয়া ইলেকট্রনিক্স পণ্যগুলো কত দামে কেনা যায় সে তালিকাও করুন। যে সরবরাহ করবে তার জন্য এবং টোকাইয়ের জন্য মার্জিন দাম নির্ধারণ করতে হবে। তাহলে সরাসরি ইনসেনটিভ প্রয়োজন হবে না।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ই-বর্জ্য নীতিমালা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে গেছে। এটি ত্বরান্বিত করতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি বলেন, দিনে দিনে ই-বর্জ্য কমানো যাবে না, আমাদের ইলেকট্রনিক্স ও ডিজিটাল পণ্যের ব্যবহার আরও বাড়বে। পুরানো প্রযুক্তি বাদ দিয়ে নতুন প্রযুক্তিতে যেতে হবে। গত ১০ বছরে দেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবহার যে হারে বেড়েছে তা গত ৩০ বছরের চেয়ে বেশি। কোনো ভাঙারির দোকানদার যদি একটি জিনিস একশ টাকায় বিক্রি করতে পারে তাহলে সেটি ৫০ টাকায় কিনতে পারবে। তার জন্য ইনসেনটিভ লাগবে না। এটা একটা সহজ সমাধান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, বেসরকারি মোবাইল অপারেটর রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক রওশন মমতাজ, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) সভাপতি মো. রুহুল আলম আল মাহবুব, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক, এনএইচ এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হায়দার প্রমুখ।
টিআরএনবি সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে টেলিকম খাতের সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।
আরএম/এএইচ/এমকেএইচ