নার্সিং মাস্টার্স কোর্সে অতিরিক্ত অর্ধকোটি টাকা আদায়!
রাজধানীর জাতীয় নার্সিং উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মুগদার শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নির্ধারিত ফি মাত্র সাত হাজার ১০০ টাকা হলেও এর বাইরে বিভিন্ন অজুহাতে পরীক্ষার ফি চার হাজার, সেন্টার ফি সাড়ে তিন হাজার, কোর্স ফি তিন হাজার, ফিল্ড প্রাকটিস ফি এক হাজার, লাইব্রেরি নিরাপত্তা ফি এক হাজার, ফিল্ড প্র্যাকটিস কাম ফি তিন হাজার, থিসিস ফি দশ হাজার ৭০০ টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে।
তারা জানান, ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট তিনটি ব্যাচের সব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা রূপালী ব্যাংকের মুগদা শাখার (হিসাব নং ০৬১২০২০০০১৩৬৪) মাধ্যমে নেয়া হয়।
সম্প্রতি ২০১৯ সালের দ্বিতীয় সেমিস্টার তৃতীয় ব্যাচের ৫৭ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মোট ছয় লাখ ৫৫ হাজার এবং দ্বিতীয় ব্যাচের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আদায়ের নির্দেশ দিলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয় দুর্নীতি দমন কমিশন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর এবং কলেজ অব নার্সিং মহাপরিচালকের কাছে চিঠি দিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৃতীয় ব্যাচের এক শিক্ষার্থী জানান, অতিরিক্ত টাকা আদায় করে শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টরা ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছেন। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে নার্সিং মহাপরিচালক ও দুদক বরাবর চিঠি দিয়েছেন তারা।
অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক (একাডেমি) দিপালি রানি মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, মন্ত্রণালয়ের সচিব দায়িত্বে রয়েছেন, তিনি কথা বলবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের একজন জানান, জাতীয় নার্সিং উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সরকার থেকে কাঙ্খিত অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায় না। এ কারণে কিছু অর্থ অতিরিক্ত আদায় করা হয়।
এমইউ/এএইচ/এমএস