মিয়ানমার-বাংলাদেশ মৈত্রী সড়ক অনুমোদন
সরকারের অনুমোদন পেলো মিয়ানমার-বাংলদেশ মৈত্রী সড়ক। সড়ক পথে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে এটি করছে বাংলাদেশ। রাস্তাটি বালুখালি থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত হবে। এতে সরকারের ব্যয় ধরা হয়েছিলো ৫৫ কোটি টাকা। কিন্তু সেটি বাড়িয়ে ৮১ কোটি টাকা করা হয়েছে। সড়কটি ৪ লেনে করা হবে।
মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ও রাজনৈতিক সম্পর্ক জোড়দার করতে সড়কটি করা হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত জাতীয় অথনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়েছে।
সূত্র বলছে, সভায় সড়কের এ প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হলে তা গুরুত্ব সহকারে নেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এটি ৪ লেন করার তাগিদ দেন। পরে আলোচনা সাপেক্ষে এটির ব্যয় ৮১ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও সেতু বিভাগ। ২০১৭ সালের জুনে এর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এর দৈর্ঘ্য হবে ২ কিলোমিটার।
এই সড়কটি করা হবে মূলত মিয়ানমারসহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ চীন ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করতে। এছাড়া এর অন্যতম উদ্দেশ্য মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানো।
এছাড়া সড়কটি হলে দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা যেমন বাড়বে, তেমনি পর্যটন শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে সড়কটি। এজন্য ১০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে সরকারকে।
সূত্র বলছে, প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় ব্যয়ের পুরো অর্থ সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে বহন করবে।
# মিয়ানমারের সঙ্গে মৈত্রী সড়ক করবে সরকার
এসএ/একে