শেখ হাসিনা অনেক বড় হৃদয়ের : মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:৫৪ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক বড় হৃদয়ের মানুষ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মাদাম নূর আশিকিন বিন্তী মো. তায়িব।

বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে এ মন্তব্য করেন হাইকমিশনার। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

মিয়ানমার থেকে নিপীড়িত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মালেশিয়ান হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক বড় হৃদয়ের মানুষ। তিনি বিপুল সংখ্যক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন।

বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণকে পছন্দ করেন জানিয়ে তিনি বলেন, দায়িত্বপালনকালে বাংলাদেশকে নিজের দেশের মতো মনে হয়েছে।বাংলাদেশের দ্রুত উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন হাইকমিশনার।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে মালেশিয়াসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা প্রত্যাশা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ রোহিঙ্গাদের কারণে তাদের ফসলি জমি, কাজ হারিয়ে ভোগান্তিতে আছে। নতুন করে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আরো রোহিঙ্গা আসছে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের সহায়তা করার জন্য মালেশিয়াকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এত বড় মানবিক বিপর্যয়ের সময় চোখ বন্ধ করে থাকা যায় না। রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন ও তাদের কষ্ট লাঘবে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

দু’দেশের চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া একটি। দায়িত্ব পালনকালে সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান হাইকমিশনার। সাক্ষাতের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন।

এফএইচএস/জেডএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।