বন্যহাতির মরদেহ ময়নাতদন্তের পর মাটিচাপা
শেরপুরে ঝিনাইগাতীর হালচাটি সীমান্তে উদ্ধার হওয়া গুলিবিদ্ধ বন্যহাতির মরদেহ মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের পর বিকেলে ঘটনাস্থলের পাশেই মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। এর আগে পুলিশ ও বনবিভাগ মৃত হাতির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।
ময়নাতদন্তকারী ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো. রেজাউল হক ভূঁইয়া বলেন, হাতিটির মাথায়, ঘাড়ে, পেটের ডানদিকে তিনটি গুলি ও পিঠে প্রায় চার ইঞ্চি লম্বা ও ছয় ইঞ্চি গভীর ধারালে অস্ত্রের একটি ক্ষত পাওয়া গেছে। গুলি এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতেই হাতিটির মৃত্যু হযেছে।
তিনি জানান, হাতির দাঁতগুলো পাওয়া যায়নি। সেগুলো গোড়া থেকে কেটে নেয়ার আলামত পাওয়া গেছে। লেজের কিছু অংশও কেটে নেয়ার আলামত রয়েছে।
শেরপুরের প্রকৃতি, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. কামারুজ্জামান জানান, বন্যহাতি মৃত্যুর ঘটনায় ঝিনাইগাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। দুপুরে শেরপুর বন বিভাগের বন্য প্রাণী কর্মকর্তা ও ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার সমন্বয়ে মৃত হাতিটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে বিকেলে ঘটনাস্থলের পাশেই মাটিচাপা দেয়া হয়।
ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, মৃত হাতিটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বন বিভাগের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
শেরপুরের প্রকৃতি ও বন্য প্রাণি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোবিন্দ রায় জানান, সীমান্তঘেঁষা এলাকায় মৃত হাতি উদ্ধার হওয়ায় ভারতীয়রাও হাতিটিকে গুলি এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে পারে। যার কারণে হাতিটি মারা গিয়ে থাকতে পারে।
পুলিশ ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১১০৩ ও ১১০৪ নং সীমানা পিলারের মাঝামাঝি কাটা তারের বেড়া সংলগ্ন ১৫০ গজ ভেতরে বাংলাদেশ অংশে একটি পাহাড়ের ঢালে কর্দমাক্ত ধানক্ষেতে হাতির মরদেহটি পাওয়া যায়।
হাকিম বাবুল/এসএস