ই-নামজারি ভূমি ব্যবস্থাপনায় জনদুর্ভোগ কমাবে : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেছেন, ই-নামজারির মাধ্যমে ভূমি ব্যবস্থাপনায় জনদুর্ভোগ কমবে। একই সঙ্গে মানুষের সেবাগ্রহণ ও প্রদান সহজতর হবে। সময়, ভিজিট এবং খরচ কমিয়ে জনবান্ধব ভূমিপ্রশাসন প্রতিষ্ঠায় ই-নামজারি ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এতে জনগণের জীবনমান উন্নত হবে।
বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলায় ই-নামজারি ব্যবহারকারীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা লাভ করে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। একাত্তরের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম আঘাতে বঙ্গবন্ধু শহীদ হলে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন অসম্ভব হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তারই সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। জনদুর্ভোগ কমিয়ে জনগণের সকল প্রকার সেবাপ্রাপ্তি সহজ করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবাপ্রদানের লক্ষ্যে সরকার যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা যুগান্তকারী সফলতা বয়ে আনবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিক কাল থেকে ভূমি ব্যবস্থাপনা একটি জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হতো। সাধারণ মানুষকে নানা হয়রানির শিকার হতে হতো। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবাপ্রদানের ফলে মানুষ এখন উন্নত ও সহজে সেবা পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য আইসিটি উপদেষ্টার যুগোপযোগী উন্নতচিন্তার ফসল হলো উন্নত ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ তাদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান প্রয়োগ করে মানুষকে আরও সহজে সেবাপ্রদানে ব্রত হবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। এতে ভূমি ব্যবস্থাপনায় সকল অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা দূর হবে। মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিও কনফারেন্সে গোপালগঞ্জ প্রান্তে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং শরীয়তপুর প্রান্তে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ (রাজস্ব) অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আওতায় দুই ব্যাচে মোট ৫৬ জন এবং শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আওতায় ৩১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
এমইউ/বিএ