সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সিরাজগঞ্জের কাছে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে মঙ্গলবার দুপুরে তা বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, গত চারদিনে জেলার কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও সদর উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলার কমপক্ষে ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় ক্লাস স্থানান্তর করা হয়েছে। কাজিপুর উপজেলার ৪৫ গ্রামের বন্যা কবলিতদের জন্য ৬টি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
জেলার কাজিপুর উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের বিলচতল গ্রামে পাউবোর তীর রক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে যমুনার পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকায় পাশ্ববর্তী ঢেঁকুরিয়া হাটে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে এসকল এলাকার মানুষ নতুন করে দুর্ভোগে পড়েছে।
কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম জানান, কাজিপুর উপজেলার ২৩৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা বন্যার কারণে স্থগিত করা হয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, পানি আরো দুদিন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাজিপুর উপজেলা সদরের শিমলা ও এনায়েতপুরের বাঁধ এখনো সুরক্ষিত থাকলেও সদর উপজেলার বালিঘুঘরি এলাকার নতুন বাঁধে পানি স্পর্শ করায় স্থানীয়রা শঙ্কায় রয়েছে।
জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন জানান, জেলার কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও সদর উপজেলার বন্যার্তদের জন্য সোমবার ৩৭ মেট্রিক টন চাল ও ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বাদল ভৌমিক/এসএস/আরআইপি