সড়ক-নৌ-রেল ও বিমান যোগাযোগে সমন্বয়ের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫১ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯

সড়ক-নৌ-রেল ও বিমান যোগাযোগে সমন্বিত ব্যবস্থা গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে নতুন সরকারের দ্বিতীয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এম এ মান্নান বলেন, ‘একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী আলাপচারিতায় ও কথাবার্তায় কিছু কিছু অনুশাসন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রেল, সড়ক, পানি ও বিমান– এগুলোকে আমরা সমন্বিত করব। জাতীয় গ্রিড হবে, সমন্বিত গ্রিড হবে।’

‘এগুলোর জন্য আমরা সমন্বয়ে বিভিন্ন কাজ করব। সমন্বিত ব্যবস্থা গড়ে তুলতেই হবে, বলেছেন তিনি (শেখ হাসিনা)’ – যোগ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

এম এ মান্নান বলেন, ‘উদাহরণ দিয়ে বলি, এমন সময় আসবে চট্টগ্রামের টিকিট কিনবেন, সেই টিকিটে ট্রেনে ঢাকায় এসে, একই টিকিটে স্ট্রিমারে করে বরিশালে যেতে পারবেন। এটা সম্ভব। বিদেশিরাও তাই করে। এ রুটগুলো সমন্বয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘এ কথা কেন বললাম, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এক টিকিটে বাস, ট্রেন ও স্ট্রিমার– তিনটাতে ঘোরাফেরা করা যায়। আমাদের এখানে করা সম্ভব। অসম্ভব কিছু নয়।’

‘রেলের মিটার গেজগুলো ব্রড গেজে রূপান্তরেরও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী’- বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

এম এ মান্নান বলেন, “তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আরও বলেছেন যে, ‘রেলের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য যারা কাজ করেন, তারা পার্টসগুলো যাতে মেরামত করতে পারেন, বানাতে পারেন…। আমাদের কিছু কিছু স্থাপনা ছিল, উত্তরবঙ্গের সৈয়দপুর ও চট্টগ্রামের পাহাড়পুরে, এটা আমরা জানি। ব্রিটিশ আমলে স্থাপন করা হয়েছিল। এগুলো বছরের পর বছর প্রশংসার সঙ্গে কাজ করেছে। এগুলোকে আরও আধুনিকায়ন করা, যাতে অদূর ভবিষ্যতে আমরা আমাদের রেলের এসব পার্টস ও অন্যান্য জিনিস আর কিনব না, নিজেরাই ওয়ার্কশপে তৈরি করব।’ সেজন্য প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রশিক্ষণের কথা বলেছেন।”

মন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুতের যে বিশাল সম্প্রসারণ হয়েছে, এর রাজনৈতিক লাভ আমরা পাচ্ছি। নির্বাচনের সময় আমরা বিদ্যুতের বিষয়টি জনগণের সামনে বেশি উপস্থাপন করেছি। এজন্য গ্রামের মহিলারা ঝাঁকে ঝাঁকে আমাদের ভোট দিয়েছেন। আমার এলাকা হাওর অঞ্চলে, সেখানে কীভাবে যে বিশাল বিশাল খুঁটি পুঁতেছে, এজন্য আমি গর্বিত।’

একনেক সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ (১৯.৫ লাখ গ্রাহক সংযোগের সংস্থানসহ)’ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে আট হাজার ৬৯০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সাড়ে ১৯ লাখ নতুন সংযোগ আমরা দিতে পারব। এক সংযোগে পাঁচজন করে মানুষ ধরলেও গড়ে প্রায় এক কোটি মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা পাবেন।’

জমি ব্যবহারে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নেরও তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সব জমির সঠিক ব্যবহারের জন্য কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন করতে হব। এজন্য ভূমি মন্ত্রণালয়কে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।’

পিডি/এমএআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।