কালশীর অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণে হাইকোর্টের রুল


প্রকাশিত: ০৮:৪০ এএম, ২৫ আগস্ট ২০১৫

২০১৪ সালে শবে বরাতের আগের রাতে মিরপুরের বিহারী পল্লীতে (কালশী) আটকেপড়া পাকিস্তানিদের ক্যাম্পে সংর্ঘ্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্য, আহত ফারজানাসহ ক্ষতিগ্রস্তদেরকে কেন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

স্বরাষ্ট্র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশে কমিশনার, মিরপুর জোনের ডিসি, ডিবির যুগ্ম কমিশনার, পল্লবী থানার ওসি (তদন্ত) সহ সংশ্লিষ্ট নয়জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো.সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

কালশীর অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিহত ৯ পরিবারের সদস্য ও আহত ফারজানাসহ ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ায় নির্দেশনা চেয়ে ক্যাম্পের বাসিন্দা শহিদ আলী বাবলুসহ দুই জন ব্যক্তি এই রিট আবেদন করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হালিম চাকলাদার। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী হাফিজুর রহমান খান।

পরে রিটকারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কালশীর অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিহত নয়জন পরিবারের সদস্য আহত ফারজানাকে চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্থদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়ায় নির্দেশনা চেয়ে আজ আমরা রিট আবেদনটি দায়ের করি।’ শুনানি শেষে আদালত এ রুল জারি করেন।

এ মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি রুল জারি করেছেন আদালত, তবে কি রুল জারি করেছেন এবং কতদিনের রুল জারি করেছেন সেটি আমি এই মুহূর্তে বলতে পারবো না’।

তিনি বলেন, ‘বিকেলে আদালত থেকে আদেশ বের হলে সেটি দেখে আমি আপনাদেরকে জানাতে পারবো।’

২০১৪ সালের ১৪ জুন শবে বরাতের রাতে আতশবাজি পোড়ানোকে কেন্দ্র করে কালশীর ওই ক্যাম্পে সংঘর্ষে নয়জনসহ আজাদ নামের এক ব্যক্তি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। সংঘর্ষের সময় কয়েকটি ঘরে আগুন দেয়া হলে একই পরিবারের ওই নয়জন পুড়ে মারা যান। এছাড়া ঐ পারিবারেরই একজন ফারজানা আহত হন।

এফএইচ/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।