বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ নিয়ে বাপার প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৫৯ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯

সরকারের বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ নিয়ে কয়েকটি বিষয় নিশ্চিত করার প্রস্তাব ও দাবি করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন)।

সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরেন বাপার সাধারন সম্পাদক ড. মো. আব্দুল মতিন।

সংবাদ সম্মেলনে হাওর বাঁচাতে যেসব প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে- হাওরের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণের জন্য অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা, দূষণ রোধে বিভিন্ন কাঠামোগত পদক্ষেপ গ্রহণের পূর্বে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যাচাই করা, হাওর এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য ভৈরব সেতুর নিকট মেঘনা নদীর প্রশস্ততা এবং পানি বহন ক্ষমতা বৃদ্ধি, হাওরের মাছের প্রজনন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে উদ্দেশ্যে ইলিশের মতো অন্যান্য মাছের প্রজননকালে মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি এবং হাওর এলাকার পর্যটন নিয়ন্ত্রণ করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

উত্তরবঙ্গের বরেন্দ্র অঞ্চলে বড়াল নদী উন্মুক্ত করার প্রক্রিয়া পূর্ণাঙ্গ রূপে সম্পন্ন করতে হবে। সেলক্ষ্যে স্লুইসগেটসমূহ অপসারণ করতে হবে। এ ছাড়াও চারঘাট থেকে গুমানি সংযোগ পর্যন্ত নদীর বেদখল অংশ পুনরুদ্ধার করে পুনঃখননের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠে পানির সঞ্চয় বৃদ্ধি করতে হবে।

প্রস্তাবে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ধলেশ্বরী নদীর জবরদখল ও দূষণ রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নদীর সীমানা নির্ধারণ করে স্থায়ী পিলার বসাতে হবে। ঢাকার চারপাশের বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যার মতো নদনদীসমূহ রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

উপকূলীয় অঞ্চলের পরিকল্পনার প্রস্তাবসমূহের মধ্যে রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মুখে টিকে থাকার জন্য উপকূলীয় অঞ্চলে পলিভরণের প্রক্রিয়া আরও জোরালো করতে হবে। সেনা কল্যাণ ট্রাস্টের নামে দক্ষিণাঞ্চলে অনেক চর দখল করে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। অবিলম্বে তা রোধ করতে হবে এবং জমি বন্দোবস্ত দেয়ার ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম মেনে চলতে হবে।

সুন্দরবনের সন্নিকটে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন বন্ধ করতে হবে, সুন্দরবনের প্রাণ পশুর নদীতে শিল্প ও পরিবেশ দূষণ বন্ধ করতে হবে।

নগরীর সকল মানুষের জন্য সুপেয় পানি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি নগরের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও শহরাঞ্চলে পানি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব আরোপ করে পানির চাহিদা মেটানো এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে হবে।

আব্দুল মতিন আরও বলেন, গত ১১ ও ১২ জানুয়ারি রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ এবং বাংলাদেশের স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সম্মেলনে’ এসব প্রস্তাব ও দাবি উঠে আসে। এগুলো আজ জাতির উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো। সরকারের কাছেও তুলে ধরা হবে।

এআর/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।