দীর্ঘ আলোচনার পর দুই কোরিয়ার সমঝোতা
সীমান্তে ব্যাপক উত্তেজনার পর অবশেষে সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছেছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। চুক্তি অনুযায়ী সীমান্তে প্রচারণা বন্ধ রাখবে দক্ষিণ কোরিয়া। দীর্ঘ আলোচনার পর মঙ্গলবার এ চুক্তির কথা ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
বৈঠকের পর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার দুপুর থেকে সীমান্তে পিয়ংইয়ংবিরোধী প্রচারণা চালানো বন্ধ রাখবে সিউল। সম্প্রতি খনি বিস্ফোরণের ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার দুই সৈনিক আহত হয়। এ ঘটনার জন্য উত্তরকে দায়ী করে দক্ষিণ।
বৈঠকে ওই ঘটনার জন্য অনুতাপ প্রকাশ করে উত্তর কোরিয়া। এছাড়া সীমান্তে পিয়ংইয়ংবিরোধী প্রচারণা বন্ধ রাখার কথা জানায় দক্ষিণ কোরিয়া। যুদ্ধবিরতি গ্রাম পানমুনজমে শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া বৈঠকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধে বিভক্ত দুই কোরিয়ার পরিবারগুলোকে আগামী মাসে পুনর্মিলনের ব্যবস্থা করতে সম্মত হয়েছে দেশ দুটি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সীমান্তে বিস্ফোরণে দক্ষিণের দুই সেনা ও এক নাগরিক আহত হয়। এরপর সীমান্তে লাউডস্পিকারে পিয়ংইয়ংবিরোধী প্রচারণা শুরু করে দক্ষিণ। এরপর শুক্রবার উত্তরের প্রধান নেতা কিম জং-উন সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেন। এছাড়া শনিবার বিকেলের মধ্যে সীমান্তে প্রচারণা বন্ধ না করলে দক্ষিণ কোরিয়ায় হামলার ঘোষণা দেন উন।
এরপর দক্ষিণ কোরিয়াও পাল্টা হামলার ঘোষণা দিয়ে সীমান্ত থেকে অন্তত চার হাজার নাগরিককে সরিয়ে নেয়। সীমান্তে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে জাতিসংঘ দেশ দুটিকে শান্ত থাকার আহবান জানায়। এছাড়া যেকোনো সংঘর্ষ এড়ানোর পরামর্শ দেয় এ সংস্থাটি। পরে শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত পানমুনজমে দীর্ঘ বৈঠকের পর সমঝোতায় পৌঁছাল দেশ দুটি।
এসঅাইএস/এআরএস/পিআর