দৃষ্টিহীন বৃদ্ধা বসতঘরে পুড়ে অঙ্গার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৮:৩৫ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

নব্বই বছর বয়সী সালমা খাতুন। বয়সের ভারে এরই মধ্যে হারিয়েছেন দৃষ্টিশক্তি। আজ সর্বনাশা আগুনে পুড়ে হারালেন জীবন। রোববার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে হাটহাজারী পৌর এলাকায় বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডে তার মৃত্যু হয়।

নিহত সালমা খাতুন হাটহাজারী পৌরসভার দক্ষিণ-পূর্ব দেওয়াননগর এলাকার আব্দুল গফুর চৌকিদারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

হাটহাজারী ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা আবু জাফর জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজ দুপুরে শর্টসার্কিট থেকে আব্দুল গফুর চৌকিদারের বাড়ির মো. জাফরের ঘরে আগুনের সূত্রপাত। তখন আগুন নেভাতে স্থানীয় লোকজন চেষ্টা করলেও আগুন ছড়িয়ে পরে পাশের মো. সেলিমের ঘরেও।’

‘সালমা খাতুন অন্ধ । তিনি তার ছেলে সেলিমের ঘরেই ছিলেন। আগুনের প্রথম দিকে বিষয়টি কেউ খেয়াল করেনি। একপর্যায়ে আগুন ছড়িয়ে পড়লে তাকে ঘর থেকে আর বের করা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে ফায়ারম্যানরাও ওই ঘরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুনের তীব্র তাপ আর ধোঁয়ায় ঘরে কেউ ঢুকতে পারেননি। আগুনে পুড়েই মৃত্যু হয় সালমা খাতুনের।’

আবু জাফর জানান, আগুনে দুটি রান্নাঘরে থাকা সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরিত হয়। এতে আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায়। এরপরও প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে চার পরিবারের আনুমানিক ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

jagonews

অপরদিকে একই সময়ে চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার রেলস্টেশন সংলগ্ন বার্মা কলোনিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে একটি মাদরাসা ও ৪৪টিরও বেশি ভাড়া ঘর পুড়ে গেছে। স্থানীয়দের দাবি, আগুনে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দোহাজারী মাসুমিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া নুরানী ইবতেদায়ি মাদরাসায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। তাদের মধ্যে প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী মাদরাসার এতিমখানায় থেকে লেখাপড়া করে আসছিল। মাদরাসা ও এতিমখানাও পুড়ে গেছে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সূত্র জানায়, দুপুর দেড়টার দিকে দোহাজারী পৌরসভার রেলস্টেশন সংলগ্ন এমরান খানের কলোনির একটি ভাড়া বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে পুড়ে গেছে পার্শ্ববর্তী দোহাজারী মাসুমিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া নুরানী ইবতেদায়ি মাদরাসা। এ ছাড়া আগুনে পুড়েছে ফতেহ আলী কলোনির ২০টি, এমরান খান কলোনির ১৫টি, মো. ইসমাইল কলোনির ৫টি, মৌলানা আবু ছৈয়দ কলোনির ৬টি ভাড়া বাসা। আগুনের খবর পেয়ে সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ ফায়ার স্টেশনের তিনটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

জেডএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।