কাস্টমস পদ্ধতি সহজীকরণে কাজ করছে সরকার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার কাস্টমস পদ্ধতি সহজ ও সাবলীল করে অবাধ বাণিজ্য পরিবেশ সৃষ্টি এবং আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে পণ্য পরিবহনে গতি সঞ্চার করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আজ শনিবার (২৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেছেন।
বাণীতে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ২৬ জানুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২০১৯’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।’
প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে বাংলাদেশ কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেবাগ্রহীতা ও অংশীজনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিশ্ব কাস্টমস সংস্থা’র এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য ‘এসএমএআরটি বর্ডারস ফর সিমলেস ট্রেড, ট্রাভেল অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট’- অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি সঞ্চার করার জন্য বাংলাদেশ কাস্টমস আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে। আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর আদায়, দেশীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণ, শুল্ক প্রত্যর্পণ, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ, রফতানি প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি অনুসরণপূর্বক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সফলভাবে বাস্তবায়ন করে কাস্টমস ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। জন-মানুষের বিশ্বময় চলাচল দ্রুত ও সহজীকরণের মাধ্যমে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে আমরা আত্মনির্ভরশীল উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করব আমাদের এই অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ কাস্টমস দ্রুততম সময়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পন্ন করার কার্যক্রম বাস্তবায়নে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। একই সাথে দেশের অর্থনীতির ভিত সুদৃঢ় ও শক্তিশালী করে সমৃদ্ধ রাজস্ব ভার গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরএস
