এবার বনভোজনে যাচ্ছেন ইসিতে কর্মরতরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩২ এএম, ২৫ জানুয়ারি ২০১৯
ফাইল ছবি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘সফলভাবে’ শেষ করে খাইদাই উৎসবের পর এবার বনভোজন এবং প্রীতি সম্মিলনে যাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আর এই অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেবেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

আজ (শুক্রবার) তারা নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ের পানাম নগর যাবেন। বনভোজন শেষে বিকেলে ঢাকায় ফিরবেন তারা। তবে এ জন্য বড় অংকের চাঁদাও দিতে হচ্ছে তাদের। প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তারা সপরিবারে ২৫০০ টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের ২০০০ টাকা, তৃতীয় শ্রেণির ১৫০০ আর চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা ১০০০ টাকা করে চাঁদা দিয়েছেন।

জানা গেছে, সেখানে ইসির ৫২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী যাবেন। নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ছাড়াও সকল যুগ্ম সচিব, উপসচিব, সহকারী সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী/সপরিবারে সেখানে যাবেন। এ জন্য সবাইকে সকাল সাড়ে ৭টার সময় রাজধানীর আগারগাঁ নির্বাচন ভবনে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে। সেখান থেকে সকাল ৮টায় বাস ছাড়বে। তবে কোনো নির্বাচন কমিশনার এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না বলে জানা গেছে। কারণ এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা ছাড়াও কমিশনার কবিতা খানম ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বিদেশ রয়েছেন। তারা দেশে ফিরলে ফেব্রুয়ারিতে আবার বনভোজনের আয়োজন করা হবে বলে ইসির একটি সূত্র দাবি করেছে।

এ বিষয়ে ইসির যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও ইসির পক্ষ থেকে বনভোজন ও প্রীতি সম্মিলনের আয়োজন করা হয়েছে। দিন শেষে সবাই আমরা আবার ঢাকায় ফিরব।

৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ করার পর ৩ জানুয়ারি বিকেলে ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের’ আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই অনুষ্ঠানের জন্যই করা হয়েছিল খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন। এতে অংশ নেন ইসি কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এই আয়োজনের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় বাইরের একটি প্রতিষ্ঠানকে। ইসির ফুয়ারা চত্বরে খাওয়া-দাওয়ার জন্য ছনের ছোট ঘর বানানো হয়। সেখানে বিভিন্ন জাতের পিঠা, মাছ ভাজিসহ নানা জাতের খাতের তৈরি করা হয়। তার সামনেই করা হয় মঞ্চ। ইসি চত্বরের জলাশয় থেকে তোলা হয় মাছ।

আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৬০০ মানুষের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ৪৫০ জনের খাবার বক্স করা হয়েছে এবং ১৫০ জন সেখানেই খাওয়ার কাজ সেরে নেন। খাবারের মধ্যে ছিল চিতই পিঠা, ভর্তা, নারিকেলি ভাপা, ঝালকুল পিঠা, সুতি জিলাপি, হোল ফিস (আস্ত মাছ) কাবাব, পানবিড়া (মসলা জাতীয় পান), পালিগুড় (পিঠার সঙ্গে খাওয়ার জন্য মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য) ও বক্সপ্রেসো। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে অনুষ্ঠান শেষ হলে শুরু হয় খাওয়া-দাওয়া ও প্যাকেট বিতরণ।

ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সিইসি, চার কমিশনারসহ ইসি সচিব তাদের বক্তব্যে দিনরাত পরিশ্রম করে নির্বাচনের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ দেন। এছাড়াও ‘সফলভাবে’ নির্বাচন শেষ করায় পুলিশ বাহিনীতে খাওয়া দাওয়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।

এইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।