না.গঞ্জে আবারো ডিবি পুলিশের ওপর মাদক বিক্রেতাদের হামলা


প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৫

নারায়ণগঞ্জ শহরের গলাচিপা এলাকায় আবারো গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দুই সদস্যর ওপর হামলা চালিয়েছে মাদক বিক্রেতারা। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের গলাচিপা চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাদা পোশাকে আসাদ নামের এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে গলাচিপা চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। তখন মাদক বিক্রেতা বন্দুক শাহীনের আত্মীয় রিপন ওরফে গিট্টু রিপন ও বন্দুক শাহীনের বোন-জামাতা সাইফুল ইসলামকে কয়েক পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়।

পরে গাড়িতে করে দুইজনকে নিয়ে যাওয়ার পথে সহযোগীরা হামলা চালায়। তখন হুমায়ূন নামের অস্ত্রধারী একজন পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক পেটায়। পরে ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছালে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, তাদের একটি টিম গলাচিপায় অভিযানে গিয়েছিল। কিন্তু কেউ আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

অন্যদিকে, ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ মন্ডল জানান, ডিবিতে আসাদ এসআই পদে ও হুমায়ূন কনস্টেবল পদে আছেন। তবে তারা সোমবার গলাচিপায় যায়নি।

এর আগে গত ৭ জুলাই সন্ধ্যায় মাসদাইরে অভিযান চালিয়ে শাহীনের উকিল মেয়ের জামাতা সাইফুল ইসলাম (২৮) ও তার সহযোগী শাকিল ওরফে পিচ্চি শাকিলকে (২৪) ফেনসিডিলসহ আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে বন্দুক শাহীনের বোন লাভলী, সহযোগী মাহাবুব, মনির ও রবিনসহ আরো কয়েকজন মিলে ডিবি পুলিশের উপর হামলা করে সাইফুল ইসলাম ও পিচ্চি শাকিলকে ছিনিয়ে নেয়।

ওই সময়ে ডিবি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ মন্ডল জানিয়েছিলেন, দুই মাদক বিক্রেতাকে আটকের সময়ে অভিযান চালানোর সময়ে তারা পালিয়ে যায়। তবে ওই দুইজনকে পুলিশ বা ডিবি ছিনতাই হওয়া দুইজনের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। ওই ঘটনায় ডিবি কোনো মামলাও করেনি।

২০১৩ সালের ৩ মে মাসদাইরে একই স্থানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সফিকুল ইসলাম ও এএসআই মনিরের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি টিম অভিযান চালায়। অভিযানকালে বাড়ির ছাদে অবস্থান করছিল বন্দুক শাহীন। এ সময় তারা ফেনসিডিলসহ তার ছোট ভাই মামুনকে আটক করে। পরে ফেনসিডিলসহ মামুনকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসার সময় অপর মাদক ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান শাহীন ওরফে বন্দুক শাহীন মামুনকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ও হামলা চালায়।

প্রসঙ্গত, বন্দুক শাহীন নারায়ণগঞ্জ শহরের চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা ও ব্যবসায়ী। ১৯৯৬ সালে পুলিশের থ্রি নট একটি বন্দুক লুটের ঘটনায় শাহীনের নামের সঙ্গে যুক্ত হয় বন্দুক শাহীন নামটি। তিনি বিএনপি নেতা ও বিএনপি দলীয় সাবেক দুইজন এমপির ঘনিষ্ট সহযোগী।

এর আগেও কয়েকবার পুলিশ ও ডিবি পুলিশ বন্দুক শাহীনকে গ্রেফতারে অভিযান চালায়। ওই সময়েও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে শাহীনকে আটক করেছিল র‌্যাব। কিন্তু বারবারই তিনি ছাড়া পেয়ে যান।
 
শাহাদাৎ হোসেন/এআরএ/





 
 
 



 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।