হাজারীবাগ বদলানোর পরিকল্পনা ট্যানারি মালিকদের জানাল রাজউক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৭ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৯

একসময় ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্যে ক্রমাগত দূষিত হতো হাজারীবাগে পরিবেশ। ট্যানারি শিল্প স্থানান্তরের পর হাজারীবাগের ভূমি পুনঃউন্নয়নের মাধ্যমে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তুলতে ইতোমধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। বিষয়টি অনুষ্ঠানিকভাবে ট্যানারি মালিক অ্যাসোসিয়েশনকে জানিয়েছে রাজউক।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) হাজারীবাগে নগর পুনঃউন্নয়ন বিষয়ে রাজউকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, রাজউকের ডিটেল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) পরিচালক আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি চিফ ফারুক আহমেদসহ রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পুনঃউন্নয়ন হলে হাজারীবাগের চেহারা কীভাবে বদলে যাবে তা তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক এবং রাজউকের ড্যাপ পরিচালক আশরাফুল ইসলাম। 

তিনি জানান, একটি উন্নত আবাসিক এলাকার মতো এখানে পার্ক, খেলার মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার, মার্কেট, ইনডোর গেমস, সুইমিংপুল, ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়সহ নানান ব্যবস্থা থাকবে।

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ট্যানারি এলাকায় যে কোনো প্রকল্প নেয়ার আগে ভূমির মান বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করতে হবে। ভূমির পুনঃউন্নয়নে পর্যাপ্ত উন্মুক্ত স্থান রাখার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা গুরুত্ব দিয়েছেন।’  

হাজারীবাগের পুনঃউন্নয়নের জন্য চিহ্নিত এলাকার আয়তন ৬৫.৫৯ একর (প্রায়)। এখানে ইমারতের মোট সংখ্যা ৮৫৫টি। এর মধ্যে শিল্প-কারখানা প্রায় ৬০০টি।

রাজউক চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, ‘যারা এখানে আছেন তাদের যেন কোনো ক্ষতি না হয় এবং সঠিক হিস্যা যেন পায় সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে। ট্যানারি মালিকদের সহযোগিতা করতে চাই। তাদের চাওয়ার দিকে নজর রেখে কাজ করা হবে।’

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ‘হাজারীবাগকে ঘিরে রাজউক যে প্রকল্প নিয়েছে- ট্যানারি ও জমির মালিকরা যদি এর গুরুত্ব, সুবিধা বুঝতে পারেন তাহলে প্রকল্পটি এগিয়ে যাওয়ার পাশাপশি এটি পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে।’

ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ‘ট্যানারি শিল্প এলাকায় ৬৫ একর জমি নিয়ে নিজেরাও ভাবছিলাম। আমরাও চাই এলাকাটি আধুনিক নগরী হোক। তবে আমাদের সমস্যা রাজউকে দেখতে হবে। এলাকার বেশিরভাগ প্লট ব্যাংক লোনে জড়িত। সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে এটি আধুনিক নগরী হোক আমরাও তা চাই।’

এএস/এএইচ/পিআর/এসজি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।