নিজের তৈরি ভাস্কর্য প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চান কাঠমিস্ত্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২৭ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৯

মোহম্মাদ নাসির। পেশায় কাঠমিস্ত্রি। পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের ফরাশগঞ্জ এলাকার উল্টিনগঞ্জ লেনে ভাড়া বাসায় থাকেন। পরিবারের সদস্য বলতে স্ত্রী ও এক মেয়ে। অভাবেই চলে তাদের সংসার। কিন্তু আলাদা ভালোবাসা আছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। এ ভালোবাসা থেকেই অভাব অনটনের মাঝেও ধীরে ধীরে তৈরি করেছেন কাঠের দুটি ভাস্কর্য। এর একটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং অন্যটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

সোমবার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দিয়ে একটি ভ্যানে ভাস্কর্য দুইটি নিয়ে নাসির ও তার স্ত্রী মাসুদা বেগমকে যেতে দেখা যায়। তখন আশপাশের সাধারণ মানুষের আগ্রহের দৃষ্টি ছিল তাদের দিকেই।

প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে কাঠমিস্ত্রি নাসির জাগো নিউজকে বলেন, নিজের হাতে তৈরি করা ভাস্কর্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজের হাতে তুলে দিতে চাই। তাহলে আমার পরিশ্রম স্বার্থক হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার নিজ উদ্যোগে এবং নিজের খরচে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি কাঠের ভাস্কর্য বানিয়েছি, যা ৬ ফুট উচ্চতার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যটি ৭ ফুট উচ্চতার। আমি এ দুটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হিসেবে দিতে চাই।’

নাসিরের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার হারবাং এলাকার নওয়াপাড়ায়।

নাসিরের তৈরি ভাস্কর্যের বিষয়ে তার স্ত্রী মাসুদা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, একজন গরিব কাঠমিস্ত্রি নাসিরের সংসার চলে টানাপোড়েনের মাধ্যমে। কিন্তু আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি নিজ উদ্যোগে নিজ খরচে ভাস্কর্য দুটি বানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হিসেবে এটা দিতে চান উনি। তাহলেই উনার পরিশ্রম স্বার্থক হবে।

কাঠমিস্ত্রি মোহম্মাদ নাসির জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরও একটি ভাস্কর্য তিনি আগে তৈরি করেছিলেন, যা জাতীয় জাদুঘরে তিনি উপহার হিসেবে দেন।

এএস/জেডএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।