নৌবাহিনীর তেলবাহী জাহাজের ডি-কমিশনিং


প্রকাশিত: ১২:২১ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৫

দীর্ঘ প্রায় ২৮ বছর অপারেশনে ব্যবহারের পর নৌবহর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডি-কমিশনিং করা হয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তেলবাহী জাহাজ ‘খান জাহান আলী’ কে।
 
সোমবার চট্টগ্রাম নৌ জেটিতে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আখতার হাবীব জাহাজটির ডি-কমিশনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।
 
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. নূর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানা গেছে।
 
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নাবিকরা উপস্থিত ছিলেন।
 
জাপানে নির্মিত জাহাজটি বিআইডব্লিউটিএ ক্রয় করলেও ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। নৌবাহিনীতে যুক্ত হওয়ার পর থেকে জাহাজটি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ওয়েল কোম্পানি হতে তেল সংগ্রহ করে নৌবাহিনীর জাহাজসমূহে সরবরাহ করে আসছিল। পাশাপাশি অপারেশন প্রতিরোধ, ট্রেজার শিল্ড, টেকএক্স, এক্সারসাইজ সি-থান্ডারসহ বিভিন্ন সমুদ্র মহড়ায় জাহাজটি অংশ নেয়।
 
নৌবাহিনীর বৃহৎ এই তেলবাহী জাহাজটি ২৬ লাখ ৫৬ হাজার ৮৮২ লিটার তেল এবং ১ হাজার ৬০০ টন পানি ধারণ ও বহনে সক্ষম ছিল। সমুদ্রে বিভিন্ন মহড়া চলাকালীন নৌবাহিনীর জাহাজসমূহে তেল ও পানি সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে খান জাহান আলী। তবে সম্প্রতি অপারেশনাল সক্ষমতায় সীমাবদ্ধতার কারণে জাহাজটিকে নৌবহর থেকে ডি-কমিশন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
 
‘খান জাহান আলী’ নামেই আধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত আরেকটি ওয়েল ট্যাঙ্কার নৌবাহিনীতে শিগগিরই যুক্ত হতে যাচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এআর/একে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।