স্বেচ্ছাসেবক নামায় শান্তিতে ট্রাফিক পুলিশ
‘অযথা হর্ন বাজাবেন না। এই, সিটি বাস সামনে এগিয়ে স্টপেজে গিয়ে থামুন। পথচারীরা ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন। হেলমেট ব্যবহার করুন মোটরসাইকেল আরোহীরা।’
রোববার দুপুর ১২টায় শাহবাগ মোড়ে দাঁড়িয়ে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর হ্যান্ডমাইকে বারবার এ কথাগুলো বলছিল। এক বৃদ্ধকে রাস্তা পার হতে দেখে, হাত ধরে পার করে দেয় সে। অদূরে দাঁড়িয়ে টিএসসি থেকে শাহবাগমুখী যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছিলেন একজন ট্রাফিক কনস্টেবল।
চারপাশে তাকাতেই দেখা গেল, ওই কিশোকের মতো আরও অন্তত জনাপাঁচেক তরুণ ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। কেউ বারডেমের সামনে, কেউবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের গেটে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তারা সবাই রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবী।
গত ১৫ জানুয়ারি থেকে পক্ষকালব্যাপী চলমান ট্রাফিক সচেতনতা পালন উপলক্ষে তারা ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করতে মাঠে নেমেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিয়মিত যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের চেয়ে স্বেচ্ছাসেবকরা বেশি তৎপর। অন্যান্য সময় যানবাহন চালকরা যত্রতত্র পার্কিং করলেও তাদের তৎপরতার কারণে অনেকেই তা করতে সাহস করছেন না। তবে ফুটওভার ব্রিজ ছেড়ে অসংখ্য মানুষকে রাস্তা পারাপার হতেও দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন স্বেচ্ছাসেবক কর্মী জানান, শাহবাগে বাস স্টপেজে থামানোর আগে বেশিরভাগ যানবাহন রাস্তার মোড়ে পার্কিং করে। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া অনেক শিক্ষিত মানুষও ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে চান না।
শাহবাগে কর্তব্যরত একজন প্রবীণ ট্রাফিক কনস্টেবল বলেন, স্বেচ্ছাসেবকরা বছরে দু-চার বার ডিউটি করে বলে ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে কাজ করে। আমাদের মতো সারাবছর রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করলে এ উৎসাহ থাকত না। তবে স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করায় কিছুটা শান্তিতে আছি।
এমইউ/জেডএ/জেআইএম/এসজি