বিজয় ধরে রাখা আরও কঠিন : প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:২৩ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিজয় পাওয়া যত কঠিন, জনগণের জন্য কাজ করে সেই বিজয় ধরে রাখা আরও কঠিন। সেই কঠিন কাজটি আমাদের করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জনগণ অনেক দিন পর স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছে। এ বিজয় শুধু আমাদের একার নয়, এ বিজয় আপামর জনতার বিজয়।’

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার বিকেলে বিজয় সমাবেশে এ সব কথা বলেন শেখ হাসিনা।

বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিট থেকে ৪টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। ঐক্যবদ্ধ শক্তি সবসময় বিজয় অর্জন করে-এ নির্বাচনে সেটাই প্রমাণ হয়েছে। যারা এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, সব রাজনৈতিক দল, সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই-এ কারণে যে, তারা নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনকে অর্থবহ করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ের পর দায়িত্ব যখন নিয়েছি, সরকার গঠন করেছি। এরপর দেশের প্রতিটি নাগরিক আমাদের কাছে সমান এবং গুরুত্বপূর্ণ।’

সমাবেশে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘদিন পর স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। আমি মা-বোন, নারীদের, তরুণ প্রজন্মকে, এদেশের কৃষক-শ্রমিক-কামার-কুমার-তাঁতিসহ সর্বস্তরের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই; যারা আমাদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা, যারা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন, যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা নিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনসহ তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মনে রাখতে হবে। আমরা এই দেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলব। এটাই আমাদের অঙ্গীকার। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করব। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের মানুষকে দেখলে কেউ যেন তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে না পারে। সে কারণেই বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে হবে।’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী মোহাস্মদ নাসিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোল্লা আবু কাউসার ও যুব মহিলা লীগ সভাপতি নাজমা আক্তার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।

এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে অভিনন্দনপত্র পাঠ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে অভিনন্দনপত্র তুলে দেন তিনি।

দুপুর আড়াইটার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিজয় সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুর ১২টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন মমতাজ বেগম, ফাহমিদা নবী, সালমা ও জলের গান ব্যান্ড।

সমাবেশ শুরুর আগে সকাল থেকেই মাইকে দেশাত্মবোধক, পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া গান বাজানো হয়। মাঝে মধ্যে কবিতাও আবৃতি করা হয়।

এফএইচএস/এনডিএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।