শিশুর ভাইরাস জ্বর হলে করণীয়
জ্বর একটি উপসর্গ। বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হিসেবে জ্বর হয়ে থাকে। জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। শিশুরা ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হলে খেয়াল রাখুন সে স্বাভাবিক চলাফেরা বা খেলাধুলা করে কিনা। যদি শিশুর স্বাভাবিক চঞ্চলতা বজায় থাকে তবে এই জ্বরে খুব বেশি চিন্তার কারণ নেই। ভাইরাস জ্বর সাধারণত ৩-৫ দিন থাকে এবং প্রাথমিক চিকিৎসাতেই ভালো হয়ে যায়। জ্বর এর চেয়ে বেশি সময় দীর্ঘ হলে, জ্বরের মাত্রা বেশি হলে এবং শিশু খুব দুর্বল হয়ে পড়লে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
লক্ষণ :
১. শরীরের তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইটের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে।
২. মাথা ব্যথা, গায়ে ব্যথা, অরুচি, বমি বমি ভাব।
৩. কখনও কখনও জ্বরের সঙ্গে পাতলা পায়খানা।
৪. কারও কারও ক্ষেত্রে জ্বরের প্রাথমিক পর্যায়ে খিঁচুনি থাকতে পারে।
করণীয় :
১. শিশুর গায়ে কাঁথা না চাপিয়ে বরং যতটুকু সম্ভব শিশুর গায়ের কাপড় আলগা করে দিন বা খুলে দিন।
২. ঘরের দরজা জানালা খুলে, ফ্যান ছেড়ে পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. মাথায় ঘন ঘন পানি ঢালতে হবে।
৪. পানিতে সুতি কাপড় ভিজিয়ে পুরো শরীর অবশ্যই ভালোমতো চেপে চেপে স্পঞ্জ করুন। অনেকেই শুধু শরীর মুছে দেন। এতে জ্বর কমতে অনেক সময় লাগে। তাই ভালো মতো স্পঞ্জ করতে হবে। ঠান্ডা যেন না লাগে তাই স্পঞ্জের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন।
৫. শিশুকে তরল জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়াতে হবে।
৬. শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে গেলে প্যারাসিটামল খাওয়াতে পারেন।
সাবধানতা :
১. আক্রান্ত রোগী থেকে শিশুকে দূরে রাখুন।
২. গরমে শিশু ঘেমে গেলে তাড়াতাড়ি কাপড় পাল্টে ঘাম মুছে দিন।
৩. বৃষ্টিতে ভিজলে অল্প পানি দিয়ে গোসল করিয়ে শরীর এবং চুল ভালোমতো মুছে দিন।
এইচএন/আরআইপি