কচুশাকের গুণাগুণ


প্রকাশিত: ০৯:২২ এএম, ২৪ আগস্ট ২০১৫

মানুষের শরীরে প্রয়োজনীয় আয়রনের জোগান দিতে কচুশাকের জুড়ি নেই। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, বি ও সি; ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। মানবদেহের নানা রোগ সারাতে সহজলভ্য কচুশাক অত্যন্ত কার্যকর।

প্রতি ১০০ গ্রাম কচুশাকে প্রোটিন ৩৯ গ্রাম, শর্করা ৬ দশমিক ৮ গ্রাম, স্নেহ বা চর্বি ১৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২২৭ মিলিগ্রাম, আয়রন ১০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি ২২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ১২ মিলিগ্রাম পরিমাণে থাকে।

কচুশাকে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় এর আয়রন মানবদেহে সহজে আত্তীকরণ হয়।

এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, যা রাতকানা, ছানিপড়াসহ চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।

এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, যা মানবদেহের বৃদ্ধি ও কোষ গঠনে ভূমিকা রাখে। কচুশাকের ভিটামিন কোষের পুনর্গঠনে সহায়তা করে।

এই শাকের আয়রন ও ফোলেট রক্তের পরিমাণ বাড়ায়। ফলে অক্সিজেন সংবহন পর্যাপ্ত থাকে। পাশাপাশি এতে রয়েছে ভিটামিন কে, যা রক্তপাতের সমস্যা প্রতিরোধ করে।

কচুশাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ, যা অন্ত্রের বিভিন্ন রোগ দূরে রাখে। এটি পরিপাকক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

কচুশাকের ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ মানুষের দাঁত ও হাড়ের গঠন এবং ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

এইচএন/এএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।