র্যাব-২ অধিনায়ক মাসুদকে প্রত্যাহার
র্যাব-২-এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মাসুদ রানাকে প্রত্যাহার করে র্যাব সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। র্যাবের সঙ্গে কথিত `বন্দুকযুদ্ধে` হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আরজু মিয়া নিহতের ঘটনায় অধিকতর তদন্তের স্বার্থে গত রোববার তাকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
অন্যদিকে গত রোববার নিহত আরজুর ভাই মাসুদ রানা বাদী হয়ে ঢাকার মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে আদালতে র্যাব-২- এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাসুদ রানা, ডিএডি শাহিদুর রহমান, পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদ ও র্যাবের সোর্স রতনকে আসামি করে নালিশি মামলা করেন।
রাজধানীর হাজারীবাগে চুরির অভিযোগে মো. রাজা নামের এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে র্যাব-২ হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আরজু মিয়াকে আটক করে।
পরে অন্য আসামিদের ধরতে গিয়ে গত ১৭ আগস্ট রাতে `বন্দুকযুদ্ধে` নিহত হন আরজু।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, `বন্দুকযুদ্ধের` ঘটনায় আদালতে অভিযোগ দায়েরের পর সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।
তিনি আরো জানান, র্যাব-২-এর অধিনায়ককে সদর দফতরে সংযুক্ত করা করা হয়েছে। তবে র্যাব-২ এর সিও হিসেবে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
একই অভিযোগে ওই ঘটনায় অপারেশনে অংশগ্রহণকারী র্যাব-২ সদস্যদেরও প্রত্যাহার করা হতে পারে বলে র্যাবের দায়িত্বশীল সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তবে সূত্রটির দাবি, কয়েক দিন আগে র্যাব-২ অধিনায়ককে মাসুদ রানাকে স্কুল অব ইনফ্রেন্ট্রি অ্যান্ড কমান্ড ট্যাকটিক্সে বদলির আদেশ জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে আরজু নিহতের ঘটনার পর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন এবং এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এরই প্রেক্ষাপটে আরজুর কুলখানি অনুষ্ঠানে এসে স্থানীয় এমপি ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস র্যাবের বিরুদ্ধে আরজু মিয়াকে হত্যার অভিযোগ এনে র্যাবকে ঢেলে সাজানোর কথা বলেন।
এআর/জেইউ/এসএইচএস/এমএস