জনকণ্ঠ সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা চালু হচ্ছে
জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদের বিরুদ্ধে করা জনকণ্ঠ ভবনের নকশা জালিয়াতি মামলায় আপিল চলবে মর্মে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
এই সংক্রান্ত এক আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দীকী। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে এ দুদকের এ মামলায় হাইকোর্ট জনকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আতিক উল্লাহ খান মাসুদের খালাসের রায় ঘোষণা করেন। সে রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে দুদক আবেদন করলে শুনানি করে সোমবার আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, মিরপুর রোডে গ্লোব সেন্টার প্রকল্পের নকশা জালিয়াতির একটি মামলায় নিম্ন আদালত আতিক উল্ল্যাহ খান মাসুদকে সাত বছর সাজা ও অর্থদণ্ড দেন। পরে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করলে ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর হাইকোর্ট আতিক উল্ল্যাহ খান মাসুদের সাজা বাতিল করেন।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের পক্ষ থেকে আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে সোমবার শুনানি শেষে সুপ্রিমকোর্ট আবেদন গ্রহণ করে আপিলের অুনমতি দেন।
এছাড়া দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক মোহাম্মদ আতিক উল্ল্যাহ খান মাসুদের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে নকশা জালিয়াতির মোট পাঁচটি মামলা দায়ের করে দুদক।এসব মামলায় মোট তার ৩৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১৬ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়া ২০০৮ সালে হিসাব বহিভূত অর্জন সংক্রান্ত অপর একটি মামলায় নিম্ন আদালত আতিক উল্ল্যাহ খান মাসুদকে ১৩ বছর কারাদণ্ড ও দশলাখ টাকা জরিমানা করেন। এসব মামলায় তাকে ২০১০ সালে হাইকোর্ট খালাস দিয়ে মামলা বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে নকশা জালিয়াতির একটি মামলা লিভ টু আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে দুদক।
এফএইচ/এসএইচএস/এসকেডি/পিআর