ভোটে পাঁচগুণের বেশি খরচ করেছে আ.লীগের প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১৫ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণায় আসনপ্রতি ২৫ লাখ টাকা খরচ করার বিধান ছিল। নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত এই ব্যয়সীমা লঙ্ঘন করে গড়ে পাঁচগুণের বেশি খরচ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। সবচেয়ে কম খরচ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত এক প্রাথমিক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও প্রতিবেদন পাঠ করেন গবেষক দলের শাহজাদা এম আকরাম।

মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত আসনগুলোতে মোট ১০৪ প্রার্থী গড়ে ৭৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৮ টাকা ব্যয় করেছেন। এর মধ্যে একটি আসনে একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৫০ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং আরেকটি আসনে একজন প্রার্থী সর্বনিম্ন ২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয় করেছেন। প্রচারণার জন্য অনুমোদিত সময়ে নির্ধারিত ব্যয়সীমার বেশি ব্যয় করেছেন ৫৭.৯ শতাংশ প্রার্থী।

আরও পড়ুন : ৫০ আসনের ৪৭টিতে অনিয়ম : টিআইবি

সার্বিকভাবে তফসিল ঘোষণার পূর্ব থেকে নির্বাচন পর্যন্ত গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীদের গড় ব্যয় ৭৭ লাখ ৬৫ হাজার ৮৫ টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছে। যা নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ব্যয়সীমার বেশি ব্যয় করেছেন ৫৮.৯ শতাংশ প্রার্থী।

গড় ব্যয়ের (প্রাক্কলিত) মধ্যে আওয়ামী লীগের ১ কোটি ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার ৫১৫ টাকা, বিএনপির ২৭ লাখ ৮৫ হাজার ১২২ টাকা, জাতীয় পার্টির ৬৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫১১ টাকা, গণফোরামের ৪১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮০ টাকা, স্বতন্ত্র ১৬ লাখ ৪ হাজার ১৯৫ টাকা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা করেছেন ১ কোটি ২৪ লাখ ৭ হাজার ৮৭১ টাকা।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা তাদের নির্ধারিত ব্যয়সীমার চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি খরচ করেছিলেন। যেখানে কমিশন নির্ধারিত ব্যয়সীমা ছিল আসনপ্রতি ১৫ লাখ টাকা, সেখানে প্রার্থীরা খরচ করেছিলেন গড়ে ৪৪ লাখ ২০ হাজার ৯৭৯ টাকা।

প্রদীপ দাস/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।