বিএনপির সংসদে আসা প্রয়োজন : প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৪৪ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৯

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনে অল্প আসন পেলেও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপির সংসদে আসা প্রয়োজন। নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে বিএনপি যদি বাণিজ্য না করত তাহলে হয়ত আরও ভালো ফল করতে পারত।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে হেরেছে- এই দোষ তারা কাকে দেবে? এই দোষ তাদের নিজেদেরকেই দিতে হবে। কারণ একটি রাজনৈতিক দলের যদি নেতৃত্ব না থাকে, মাথাই যদি না থাকে তাহলে সেই রাজনৈতিক দল কীভাবে নির্বাচনে জেতার কথা চিন্ত করতে পারে?

শনিবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কার্যনির্বাহী সংসদ এবং উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ বুঝতে পেরেছে শুধু আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলেই তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, দেশের উন্নয়ন হয়। দেশের সব শ্রেণি-পেশার সর্বস্তরের মানুষ এটা মনে করে। আর এ জন্যই তারা সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরে দেশ পরিচালনায় দেখা গেছে যে- আওয়ামী লীগ জনগণের সেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের মানুষ যথাযথভাবে সেবা পেয়েছে। এ কারণে ভোটের মাধ্যমে জনগণ প্রতিদান দিয়েছে। আগামীতে জনগণ আরও ভালো সেবা পাবে।

তিনি বলেন, জনগণ আমাদের বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছে, এখন জনগণের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আরও অনেক বেড়ে গেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এটুকু বলতে পারি যে, আমরা যখন সরকারে এসেছি, আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছি, জনগণের জন্য কাজ করেছি। আমরা কিন্তু কোনো রিভেঞ্জ নিতে চাইনি বা আমরা কোউকে কোনো হয়রানিও করতে যাইনি। তাদের কৃতকর্মের জন্য বা দুর্নীতির জন্য যে মামলা হয়েছে সে মামলা আপনগতিতে চলবে। বিচারবিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন; কাজেই সেভাবেই চলবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, মেহনতী মানুষ থেকে ব্যবসায়ী- সবার মনে একটা আকাঙ্ক্ষা ছিল যে, আওয়ামী লীগ আসলে তারা ভালো থাকবে, দেশটা ভালো চলবে, দেশটা উন্নত হবে। এবারের নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে একটা স্বতঃস্ফূর্ততা এবং ভোট দেয়ার আগ্রহ ছিল। বিশেষ করে এদেশের তরুণ সমাজ এবং প্রথম যারা প্রথম ভোট দিচ্ছে ও নারী সমাজ।

তিনি বলেন, আরও পাঁচ বছরের জন্য আমরা ম্যান্ডেট পেলাম। আমাদেরকে এখন একটাই চিন্তা করতে হবে যে, আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি সেগুলো যেমন বান্তবায়ন করতে হবে এবং বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আরও কী কী করতে পারি সেটাও সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ পালিত হবে। সারাদেশব্যাপী ও আন্তর্জাতিকভাবে এক বছর ধরে উৎসব চলবে।

একইসঙ্গে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সৌভাগ্য স্বাধীনতার রজতজন্তীতে আমরা ক্ষমতায় ছিলাম। সুবর্ণজয়ন্তী আমরা পালন করব।

এফএইচএস/বিএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।