ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেককে সম্পদের হিসাব জমা দেয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫০ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৯

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত সম্পদের হিসাব জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ নির্দেশের কথা জানান।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মেডিকেল এডুকেশন শাখার এক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বিপুল সম্পদের খোঁজ পাওয়ার পর ভূমিমন্ত্রীর দিক থেকে এমন নির্দেশনা এলো। ওই কর্মকর্তার নাম মো. আবজাল হোসেন। আবজাল দম্পতির নামে রাজধানীর উত্তরায় ১৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডে তিনটি পাঁচতলা বাড়ি, ১৬ নম্বর রোডে পাঁচতলা বাড়ি, উত্তরার ১১ নম্বর রোডে একটি প্লট (প্লট নম্বর ৪৯) এবং ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ও ফরিদপুরে প্রচুর সম্পদ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়াতেও তাদের বাড়ি আছে বলে জেনেছে দুদক।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, ‘আবারও আমাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। পূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব যখন পেয়েছি, সেবার মান আরও এগিয়ে নিতে কাজ করে যাব। আগামী তিনমাসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সবকিছু ঠিক করার অঙ্গীকার করছি। কর্মকর্তাদের সাহস দিতে চাই। মাঠ পর্যায়ে হাত দিচ্ছি। উপজেলা, ইউনিয়নের সব ভূমি অফিসকে সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসবো। ভয়েস রেকর্ডিংয়ের সুযোগ রাখবো বিভিন্ন পয়েন্টে। দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতিতে থাকবো।’

শিগগিরই বিভিন্ন ভূমি অফিসে সারপ্রাইজ ভিজিট শুরু করবেন জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণের নোটিশ ইস্যুর পর মামলা হয়। ভূমি অফিসের নিচু শ্রেণির কর্মীরা এর সঙ্গে জড়িত থাকে। তাই নোটিশ ইস্যুর পর মামলা টিকবে না এমন একটি সিস্টেম বের করছি। সোজা হিসাব। এ রকম নিয়ম করা হবে।’

‘আমি মনে করি, যারা অভ্যাস ফেলতে পারবে না তাদের কেটে পড়া উচিত। আমি এসেছি সম্মানের জন্য। দুর্নীতি যেদিন স্পর্শ করবে সেদিন হবে আমার শেষ দিন। যে কেউ প্রশ্ন করলে জবাব দিতে বাধ্য থাকবো। আমি সবার সেবক হিসেবে থাকতে চাই,’ বলেন ভূমিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয় একসময় ছিল ডাম্পিং স্টেশন। কিন্তু এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ৫ বছরের মধ্যে ভালো অবস্থানে নিয়ে আসবো। অটোমেশনসহ সব উদ্যোগ গতিশীল করবো। সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারবো।’

চট্টগ্রামের উন্নয়নের প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে তিনজন মন্ত্রী ও একজন উপমন্ত্রী মিলে সারাদেশের পাশাপাশি এ জনপদের উন্নয়নে কাজ করবো। মিলেমিশে কাজ করার আনন্দ অনেক। জনগণকে ভালো কিছু দেয়াতেই আমাদের তৃপ্তি।’

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌসসহ সাংবাদিক নেতারা।

এনএফ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।