ট্রেড লাইসেন্স ফি বেড়েছে ৮৫২ শতাংশ


প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০১৫

ট্রেড লাইসেন্স ফি ৮৫২ দশমিক ১৭ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। যার কারণে ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স নিতে বিভিন্ন সরকারি অফিসে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হচ্ছে। ফলে নতুন উদ্যোক্তারা ব্যবসায় আগ্রহ হারাচ্ছেন বলে জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

রোববার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) মিলনায়তনে ব্যবসায় খরচ বৃদ্ধি সংক্রান্ত এক সেমিনারে এসব কথা বলা হয়। ডিসিসিআই এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ।

ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআইর সহসভাপতি মো. শোয়েব চৌধুরী। প্রবন্ধের উপর অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, আইএফসি ব্যাংকে এসএমই বিভাগের টি. আই. এম রওশান জাদিদ, ডিসিসিআই সাবেক সভাপতি এম এ মোমেন।

সেমিনারের শুরুতেই হোসেন খালেদ বলেন, দেশের অর্থনীতি ক্রমেই বৃদ্ধি পেলেও  ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যয় কমছে না। বর্তমানে ট্রের্ড লাইসেন্সের ফি  অনুযায়ী একজন নতুন ব্যবসায়ী আমদানি, রফতানি এবং ইন্ডেটিং ব্যবসা করতে চাইলে তাকে সরকারের বিভিন্ন অফিসে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে। ফলে নতুন উদ্যোক্তারা ব্যবসায় আগ্রহ হারাচ্ছেন।
 
‘ইজি ডুয়িং বিজনেস রিপোর্ট ২০১৫’ অনুযায়ি বিশ্বের ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৩ তম। এছাড়া ওয়াল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘দ্য গ্লোবাল এনাবলিং ট্রের্ড রিপোর্ট ২০১৪’ প্রতিবেদনে ব্যবসায়িক সক্ষমতা সূচকে ১৩৮ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫ তম। আর স্কোর ছিল ৭ এর মধ্যে ৩ দশমিক ৪। ২০১২ সালে ১৩২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৯ তম। আর স্কোর ছিল ৭ এর মধ্যে ৩ দশমিক ৫। এসব প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায় ২০১৪ সালে সক্ষমতার সূচক ছয় ধাপ কমেছে। পাশাপাশি স্কোরও কমেছে।
 
হোসেন খালেদ বলেন, শুধু ট্রের্ড লাইসেন্স ফি বৃদ্ধির জন্যই ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যয় বেড়েছে তা নয়। বিদ্যুৎ, গ্যাসের অভাবসহ নানাবিধ সমস্যার কারণে ব্যবসার ব্যয় বাড়ছে। পাশাপাশি নানামূখি হয়রানির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এসব হয়রানির মধ্যে রয়েছে ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তি, জমির নিবন্ধন।

মূল প্রবন্ধে শোয়েব চৌধুরী বলেন, ইন্ডেটিং এবং কমিশন এজেন্টের লাইসেন্স ফি ১০০০ টাকা থেকে ৪০০ শতাংশ বাড়িয়ে ৫০০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়াও ক্লিয়ারিং ও ফরওয়াডিং এজেন্ট, ট্রাভেলিং এজেন্ট, রিক্রটিং এজেন্টের ফি ১৫০০ টাকা থেকে শুরু ২৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৫০০০ টাকা করা হয়েছে।  রফতানি লাইসেন্স ৫০০ টাকা থেকে ৫০০ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৩০০০ টাকা করা হয়েছে।
 
এসআই/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।