‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স হলে প্রবৃদ্ধি হবে ১২ শতাংশ’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪৭ পিএম, ০৯ জানুয়ারি ২০১৯

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারাকাত বলেছেন, বাংলাদেশে দুর্নীতি জিরো টলারেন্সে নেয়া সম্ভব হলে প্রবৃদ্ধি ১২ শতাংশে পৌঁছে যাবে। যা বঙ্গবন্ধু তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ভাষণে তুলে ধরেছিলেন। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হলে সরকারকে সমস্যা স্বীকার করে তার সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ আমাদের মহান স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করে’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আবুল বারাকাত বলেন, বঙ্গবন্ধু তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ভাষণে একতা, ষড়যন্ত্র ও দুর্নীতি বিষয় তুলে ধরেছিলেন। ৪৭ বছর আগেই বঙ্গবন্ধু দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নের কথা বলেছিলেন। বর্তমানে বিশ্বে তা আলোচিত হচ্ছে। দুর্নীতি সবাই করে না, কিছু মানুষ করেন। তাদের দমন করতে হবে।

Barakat-2

৩০ লাখ মানুষের জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশের সব মানুষ একত্রিত হয়ে জনযুদ্ধে যোগ দিয়েছিল। স্বাধীনতার ৩৭ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী গোষ্ঠী রাষ্ট্র শাসন করেছে। এ কারণে আজও ৩০ লাখ শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। যুদ্ধ শেষ হয়েছে, দেশকে এগিয়ে নিতে এখন নতুন চেতনার জন্য তরুণদের যুদ্ধ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে দেশের সামাজিক ও অর্থর্নীতি বিষয়ে বৈষম্য দূরীকরণের কথা বলা হয়েছে। শহরের মতো গ্রামগুলোকেও ঢেলে সাজানোর কথা বলা হয়েছে। ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। সেখানে অনেক নবীণকে জায়গা দেয়া হয়েছে, বিগত দিনেও যারা দায়িত্ব পালন করেছেন এমন প্রবীণদেরও রাখা হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা দেখে মনে হয়েছে, আওয়ামী লীগ তাদের ইশতেহার বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

আমাদের আত্মতুষ্টির সময় আসেনি মন্তব্য করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, নিজেদের ব্যর্থতা ও সমস্যা স্বীকার করতে হবে। এটির মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে। সরকারকে সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। আমি আত্মতুষ্টি নয়, আশাবাদী। আওয়ামী লীগের ইশতেহার বাস্তাবায়ন হলে উন্নত বিশ্বের কাতারে বাংলাদেশের নাম উঠে আসবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, দেশে অন্যায় হলে তার বিচার হতো না। এ কারণে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টায় বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে আসছি।

তিনি বলেন, শুধু সরকার চেষ্টা করলেই দেশে দুর্নীতি নির্মুল হবে না। এ জন্য সবাইকে সম্মলিতভবে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

এমএইচএম/এমএমজেড/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।