মার্কিন নাগরিক হয়েছিলাম, সেটি স্যারেন্ডার করেছি : মোমেন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:০৮ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৯

রাজনৈতিক কারণে মার্কিন নাগরিকত্ব নিতে বাধ্য হলেও পরিস্থিতি পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে তা ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন সরকারের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

মন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার মন্ত্রণালয়ে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বাধ্য হয়ে মার্কিন নাগরিক হয়েছিলাম। আমি সেটি স্যারেন্ডার করেছি।

মার্কিন নাগরিকত্ব গ্রহণের কারণ ব্যাখা করে ড. মোমেন বলেন, আমি বাধ্য হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিয়েছিলাম। আমি যখন সরকারি চাকরি করতাম তখন ‘দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছি’ অভিযোগ এনে চাকরিচ্যুত করা হয়। সম্ভব তখনই আমি ছিলাম চাকরিচ্যুত সর্বকনিষ্ঠ সরকারি কর্মচারী।

নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেই রূঢ় স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, সেই সময় লিগ্যালিটি রাখার জন্য আমি অনেক ডিগ্রি করি। অন্তত হাফডজন। অনেকে বলে আমি এত ডিগ্রি কেন নিয়েছি। আসলে সে সময় লিগ্যাল স্ট্যাটাস রাখার জন্য আমি একটার পর একটা ডিগ্রি নিতে থাকি। তখন মার্কিন সরকার আমাকে সাহায্য করে।

হাস্যোজ্জ্বল ড. মোমেন বলতে থাকেন, তাদের বিচারক আমাকে বলে- ইউ কুড বি স্টেটলেস, বাট ইউ কেনট বি হোমলেস, জবলেস।

‘সেই সূত্রে সেখানে আমাকে থাকার অনুমতি দেয় মার্কিন সরকার। আমি ভাগ্যবান যে আমি সেই পরিস্থিতি উতরাতে পেরেছি। জীবনে আমি উতরিয়ে গেছি অনেকবার,’ বলেন তিনি।

নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, দৃঢ় ভিত্তি, বিশ্বাস ও সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে আমরা বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রগুলো সঙ্গে অংশীদারিত্ব চাই। রূপরেখা অর্জনের জন্য যে বিনিয়োগ দরকার সেটির ক্ষেত্রে আমরা সহায়ক ভূমিকা পালন করবো, অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করবো। আমরা ইতোমধ্যে অর্থতৈনিক কূটনীতির উদ্যোগ নিয়েছি।

এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।

জেপি/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।