পোশাক শ্রমিকদের মজুরি সব গ্রেডে সমান হারে বাড়ানোর দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৩ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৯

পোশাক শ্রমিকদের সব গ্রেডে সমান হারে মজুরি বাড়ানোর পাশাপাশি বকেয়া বেতন পরিশোধ, ছাঁটাই ও নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি।

মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক জুলহাসনাইন বাবুর যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে তারা বলেন, পোশাক শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ ও সব গ্রেডে সমান হারে মজুরি বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে উত্তরা,গাজীপুর নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক ছাঁটাই, টার্গেট চাপ বাড়ানো এবং শ্রমিক নির্যাতন বন্ধের দাবি জানানো হয়।

তারা বলেন, সম্প্রতি শ্রমিক আন্দোলন বিভিন্ন গ্রেডে মজুরি সমান হারে বৃদ্ধি না পাওয়ারই কারণ। এ ছাড়া বেতন বকেয়া, ছাঁটাই-নির্যাতন, টার্গেট চাপ ইত্যাদির ক্ষোভ রয়েছে।

শ্রমিক নেতারা বলেন, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী শ্রমিকরা এ মাসেই বেতন পাওয়া শুরু করেছে নতুন গ্রেডে। মাস শেষে কাঙ্ক্ষিত বেতন না পেয়েই শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, শ্রমিকরা মাঠে নেমে এসেছে। শ্রমিকদের অসন্তোষের মূলে না গিয়ে বিক্ষোভকে কেবল ‘ষড়যন্ত্র’ বললে শিল্পের মঙ্গল হবে না।

বিবৃতিতে সরকার ও মালিক পক্ষকে পোশাক কারখানার ৩য়, ৪র্থ, ৫ম গ্রেডের শ্রমিকদের মূল মজুরি অন্যান্য গ্রেডের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বেতন বাড়িয়ে শিল্পের সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অপারেটররাই গার্মেন্ট শিল্পের প্রাণ, প্রধান চালিকা শক্তি, সংখ্যার দিক থেকেও এরাই বেশি। শ্রমিকদের এ অংশকে বঞ্চিত করে, অংকের মার-প্যাঁচে ফেলে বেসিক কমিয়ে দিলে শেষ পর্যন্ত শিল্পের মঙ্গল আসবে না এ কথা মালিকদের পরিষ্কারভাবে বুঝতে হবে। পুলিশ ও মাস্তান দিয়ে নির্যাতন করে, মামলা ও গ্রেফতার করে এ আন্দোলন থামানো যাবে না। ষড়যন্ত্র ও ইন্ধনের গন্ধ খুঁজলে সমাধানের পথ পাওয়া যাবে না, বরং যে হারে ৭ম গ্রেডের মূল মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে একই হারে অন্যান্য গ্রেডের মূল মজুরি বৃদ্ধির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধান করার আহ্বান জানানো হয়।

এসআই/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।