আগে বকেয়া পরিশোধ পরে আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫২ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৯

সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হলেও কর্মবিরতি থেকে সরে আসেননি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) জোয়ার সাহারা ডিপোর চালক-শ্রমিকরা। গত নয় মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ডিপোর ফটকে তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।

রাজধানীর খিলক্ষেতে অবস্থিত এই ডিপোর চালক-শ্রমিকরা বলছেন, আগে বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হোক। এরপর আমরা আলোচনায় বসবো। শুধু আলোচনা হবে, বেতন বকেয়া থাকবে, তা হবে না।

৯ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ উত্থাপিত দাবি-দাওয়া পূরণের লক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভ করছেন ডিপোর চালক, কনডাক্টর, মেকানিকসহ বিভিন্ন বিভাগের শ্রমিকরা। ধর্মঘট ডেকে সব ধরনের বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নেন চালকরা। যে কারণে সকাল থেকে ডিপো থেকে বের হয়নি কোনো রুটের বাস।

দুপুর সোয়া ১টার দিকে শ্রমিকদের শান্ত করতে এবং আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য দেন ডিপোর ব্যবস্থাপক মো. নূর আলম। তবে বকেয়া বেতন পরিশোধের আগে কোনও আলোচনায় বসবেন না বলে আন্দোলনরত শ্রমিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

বিআরটিসির চালক মোহাম্মদ মিজান ও শামসুল জানান বলেন, এর আগেও বেতন বকেয়া ছিল। ধর্মঘট ডেকে তা পরিশোধে বাধ্য করা হয়েছিল। কিন্তু ফের বেতন বকেয়া পড়েছে। এর আগে চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা বরাবর কয়েক দফায় চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আমাদের শুধু আশ্বাসই দেয়া হয়েছে। তাই ধর্মঘট ছাড়া যদি আমরা সমাধান না পাই, তাহলে তো ধর্মঘট ডাকা ছাড়া উপায়ও নেই।

তারা বলেন, সর্বশেষ গত জুলাইতে চেয়ারম্যান আমাদের বলেছিলেন ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। কিন্তু তা হয়নি। তাই আলোচনায় আমাদের বিশ্বাস নেই। এবার আমরা কোনও আলোচনায় বসতে চাই না। আগে বেতন পরিশোধ পরে আলোচনা।

পরিস্থিতি সমাধানের ব্যাপারে বিআরটিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া জানান, ডিপোর কর্মীদের বেতন কেন বকেয়া, তা জানতে চেয়েছি এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানে ডিপোর ম্যানেজারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বিআরটিসির প্রধান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানের জন্য সদর কার্যালয় থেকে চেয়ারম্যানের পক্ষে বিআরটিসি'র ডিজিএম (অপারেশন-১) মো. আলমাছ আলীসহ দুইজনকে ওই ডিপোতে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জোয়ার সাহারা ডিপোর ম্যানেজার নূরে আলম বলেন, প্রধান কার্যালয় থেকে চেয়ারম্যানের পক্ষে দুইজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আলোচনার জন্য এসেছেন। আমরা বিক্ষুব্ধ চালক-শ্রমিকদের মধ্য থেকে ১০ জনকে সবার প্রতিনিধি হিসেবে আলোচনার বসার জন্য অনুরোধ করেছি। আলোচনা করে সব সমস্যার সমাধান করার কথা বলা হলেও তা চালক-শ্রমিকরা শুনছেন না।

বিআরটিসি'র ডিজিএম (অপারেশন-১) মো. আলমাছ আলীর সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বেতন বকেয়া একবারে দেয়া সম্ভব না। আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও ডিপো হতে বিআরটিসির বাস চলাচলের ব্যবস্থার চেষ্টা চলছে। কিন্তু আগে বেতন পরে আলোচনার কথা বলছে শ্রমিকরা। সেটা আমরা ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছি। পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে এখন পর্যন্ত আলোচনায় বসার সুযোগ হয়নি।

জেইউ/জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।